বিষ ছড়ানো ক্ষমা যা লোক দেখাতে
ক্ষমা করো আর ভুলে যাও- অনেকে এ কথা পরামর্শ আকারে সহজেই আওড়ে যেতে পারেন। কিন্তু কেউ যখন আপনাকে কষ্ট দেন এবং বুঝতে পারেন তাকে সহজেই ক্ষমা করে দিতে পারছেন না, তখন লজ্জাবোধ আসতেই পারে।
তবে অনেক ক্ষেত্রেই সাধারণ ভদ্রতা প্রদর্শন বা স্রেফ বলার জন্যে আমরা প্রায় সময় অন্যের কাছে ক্ষমা চেয়ে থাকি। অনিচ্ছা সত্ত্বেও এ ধরনের ক্ষমা প্রার্থনা আসলে বিষাক্ত আচরণ। এমন ক্ষমা চাওয়া না চাওয়ার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। এর নেতিবাচক বিষয়গুলো জেনে নিন।
১. এ ধরনের ক্ষমা প্রার্থনায় বিরক্তিভাব স্পষ্ট থাকে। আবার কেউ ক্ষমা চাইলে তাকে ক্ষমা না করলেও এ ধরনের ভাব চলে আসতে পারে। এতে কেবল সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
২. এ ধরনের ক্ষমা প্রদান বা প্রার্থনায় বহু অজুহাত, ব্যাখ্যা এবং আত্মরক্ষামূলক অবস্থা বিরাজ করে। এতে এক ধরনের বিষাক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অন্তর থেকে এ ক্ষমা আসে না বলে তাতে আন্তরিকতা প্রকাশ পায় না।
৩. এতে বিশ্বাসযোগ্যতার দেয়ালটি ভেঙে যায়। ক্ষমা চাওয়া বা ক্ষমা প্রদানের ধরন আন্তরিক না হলে আপনার মধ্যকার কৃত্রিমতা ফুটে ওঠে। এ থেকে আপনার প্রতি বিশ্বাস আনতে পারবেন না কেউ।
৪. কপোট ক্ষমার বিষয়টি লুকিয়ে রাখা যায় না। কোনো না কোনোভাবে এটি প্রকাশ পাবে। বরং আপনার লুকিয়ে রাখার বৃথা চেষ্টায় অন্যের চোখে আপনার নেতিবাচক ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায়। এতে দুজনের মধ্যে নিঃসন্দেহে বাজে সম্পর্কের সৃষ্টি হবে।