November 12, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ব্যবসা ও প্রযুক্তি শারীরিক

চিনি, টুথপেস্ট, সাবান জলেই যখন সুখবর 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

প্রেগনেন্সি- সব মহিলাদের জন্যই উত্তেজনাপূর্ণ আনন্দময় অভিজ্ঞতা। তারা প্রেগনেন্সি নিশ্চিতের প্রত্যাশায় থাকে এবং নিশ্চিত হওয়ার পর সুখ সাগরে ভেসে সুখবরটি সকলকে জানায় সলজ্জ হাসিতে। এই ব্যাপারটি প্রাথমিক পর্যায়ে ঘরে বসেই নিশ্চিত হওয়া যায়। যদিও এখন পাড়ার ফার্মেসিতেও প্রেগনেন্সি টেস্টের কিট পাওয়া যায়, তবে আপনি চাইলে পয়সা বাঁচিয়ে ঘরোয়া উপাদানের সাহায্যেই প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে পারেন। লিফটারে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী জেনে নিন এর উপায়।
ব্লিচিং পাউডার: একটি পাত্রে ১ কাপ ব্লিচিং পাউডার নিন। এর মধ্যে সামান্য ইউরিন মেশান। ভালোভাবে নাড়তে থাকুন। যদি ফেনা দেখা দেয়, তাহলে অভিনন্দন- আপনি প্রেগনেন্ট!
টুথপেস্ট: একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ সাদা রঙের টুথপেস্ট নিন। এর মধ্যে ইউরিন মেশান। যদি পেস্টের রং নীল হয়ে যায়, তাহলে রেজাল্ট পজেটিভ।
ডেনডেলিওনের পাতা: ডেনডেলিওনের পাতা সংগ্রহ করে সূর্যের আলো থেকে দূরে অন্ধকার জায়গায় রাখুন। পরবর্তীতে একটি পাত্রে ২ কাপ ডেনডেলিওনের পাতা নিন। এর মধ্যে বেশি পরিমাণে ইউরিন যোগ করুন, যাতে পাতাগুলো ডুবে যায়। ১০ মিনিট পর পাতাগুলোর ওপর যদি লাল ফোস্কার মতো দাগ দেখতে পান, তাহলে প্রেগনেন্সির আনন্দের খবরটি স্বামীর সঙ্গে ভাগ করে নিন।
চিনি: হ্যাঁ, খুবই কমন একটি উপাদান যা প্রায় প্রতিটি রান্নাঘরে থাকে। প্রেগনেন্সি পরীক্ষার জন্য একটি পাত্রে ৩ চা-চামচ চিনি নিন। এর সঙ্গে ইউরিন যোগ করুন। যদি চিনি ৫ মিনিটের মধ্যে দলা পাকিয়ে যায়, তাহলে রেজাল্ট পজেটিভ।
পাইন সল: ঘর পরিষ্কার করার এক প্রকার তরল হচ্ছে পাইন সল। একটি পাত্রে ১ কাপ পাইন সল ঢালুন এবং এতে ইউরিন মেশান। যদি মিশ্রণটির রং পরিবর্তন হয়, তাহলে আপনি প্রেগনেন্ট। রং পরিবর্তন না হলে প্রেগনেন্ট নন।
সাবানের জল : একটি পাত্রে ইউরিন নিন এবং এর মধ্যে সাবানের জল মেশান। যদি বাবলের মতো বুদবুদ ‍দেখা দেয়, তাহলে বুঝবেন আপনি প্রেগনেন্ট।
স্বচ্ছ প্লাস্টিকের ডিব্বা: একটি স্বচ্ছ প্লাস্টিকের পাত্রে ইউরিন নিয়ে ২৪ ঘণ্টার জন্য রেখে দিন। এরপর ইউরিনের ওপর যদি সাদা স্তর দেখতে পান, তাহলে এটাও প্রেগনেন্সির অন্যতম একটা লক্ষণ বলে ধরা হয়।
কখন প্রেগনেন্সি টেস্ট করবেন?
ঘরে প্রাকৃতিক উপায়ে প্রেগনেন্সির এই পরীক্ষাগুলো হিউম্যান ক্রনিক গোনাডোট্রোপিন (এইচসিজি) নামক একটি হরমোন শনাক্তের ওপর ভিত্তি করে। এই হরমোন গর্ভাবস্থা শুরুর পরপরই প্লাসেন্ট দ্বারা উৎপন্ন হয়। গর্ভাবস্থায় শরীরে এর উপস্থিতি অনেক বেড়ে যায়।
প্রেগনেন্সির সঠিক ফলাফল পেতে, সকালের ইউরিনের নমুনা ব্যবহার করুন। শুরুর দিকে এই পরীক্ষাগুলো কাজ নাও করতে পারে শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে এইচসিজি তৈরি না হওয়ায়। তবে ঠিকভাবে করতে পারলে প্রাকৃতিক উপায়ে প্রেগনেন্সি টেস্টের এই পরীক্ষাগুলো ৯৭ শতাংশ সঠিক হয়ে থাকে। যদি টেস্ট নেগেটিভ ফল জানায় এবং আপনার মধ্যে প্রেগনেন্সির সব লক্ষণ থাকে তাহলে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করে আবারও ঘরোয়া টেস্ট করতে পারেন অথবা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারেন।

Related Posts

Leave a Reply