চোখ কপালে উঠবে যদি জানেন কফ সিরাফের সাহায্যে গর্ভধারণ
গর্ভধারণের সমস্যা এখন সাধারণ সমস্যা। আশপাশে খোঁজ নিয়ে দেখুন, বিয়ের অনেকবছর পরও কোনও কোনও দম্পতি নিঃসন্তান। তবে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করলে, কারও কোল আলো করে জন্ম নেয় সন্তান। কারও আবার সব আশাই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু সন্তানের জন্য অপেক্ষায় থাকেন সকলেই। বর্তমান জীবনযাপন, নানা রোগভোগ সন্তানধারণ না করার অন্যতম কারণ। কিন্তু আপনি কি জানেন প্রেগন্যান্ট হওয়ার অন্যতম উপায় লুকিয়ে আছে আপনার ওষুধের বাক্সে। আপনার সর্দি-কাশির কফ সিরাপে লুকিয়ে আছে সেই জাদু, যার সাহায্যে আপনার ঘরে ছোট্ট সদস্যটি অনায়াসেই চলে আসতে পারে।
চোখ কপালে তোলার মতোই ইনফো, বলুন! চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা এই নিয়ে অনেক পরীক্ষানিরীক্ষা করেছেন। খুঁজে পেয়েছেন এক আশ্চর্য তথ্য। কফ সিরাপে উপস্থিত এক আশ্চর্য উপাদান গুয়াইফেনেসিনই (Guaifenesin) নাকি নেপথ্যে চমৎকার ঘটায়। ফুসফুসে সর্দি ও শ্লেষ্মা শিথিল করে এই উপাদান। কেবল ফুসফসেই নয়, গুয়াইফেনেসিন সারাশরীরে যত শ্লেষ্মা আছে, সব শিথিল করে। এমনকী, সারভিক্সের শ্লেষ্কাও আলগা করে ধীরে ধীরে। শ্লেষ্কা তরল হওয়ার কারণে পুরুষের শুক্রাণু, মহিলাদের ডিম্বাণুতে অনেক সহজে প্রবেশ করতে পারে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, মাসের যে সময় মহিলাদের গর্ভধারণ করার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি, সেসময় কাফ সিরাপ খেলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা আরও অনেকগুণ বেড়ে যায়। শুধু মহিলাদের নয়, পুরুষদের উর্বরতা বাড়াতেও সাহায্য করে কাফ সিরাপ। বীর্যের মান বাড়ে। সংখ্যা বাড়ে।
তবে কী যে কোনও কাফ সিরাপেই গর্ভধারণ করা সম্ভব?
না, সবধরনের কফ সিরাপ খেলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ে না। কেবল যে কফ সিরাপে গুয়াইফেনেসিন উপস্থিত, সেটি খেলেই বাড়তে পারে গর্ভধারণের সম্ভাবনা। তাই কাফ সিরাপ খাওয়ার আগে, বোতলে লেখা উপাদান তালিকা ভালো করে দেখে নিন। দেখে নিন সেখানে গুয়াইফেনেসিনের উল্লেখ আছে কি না। এছাড়াও, কিছু কাফ সিরাপ এমনও আছে, যা শরীরের শ্লেষ্কাকে শুকিয়ে দেয়। সেই কাফ সিরাপ খেলে আবার হিতে বিপরীত হবে। সবচেয়ে ভালো হয়, যদি এবিষয়ে স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করে নেন।
…তবে সবশেষে একটা কথা বলতেই হচ্ছে, সবকিছুরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। অতিরিক্ত পরিমাণে কাফ সিরাপ খেলে নানারকম সমস্যা হতে পারে আপনার। নিজে ডাক্তারি করে কাফ সিরাপ খেতে যাবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন। ডাক্তার যে ডোজ় দিচ্ছেন, একমাত্র সেটাই মেনে চলুন।