জীবনে রোজগার না পারলেও মরে কোটিপতি
কলকাতা টাইমস :
ডেড বডির দাম বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম। পিক সিজনে দাম উঠতে পারে ৪০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা। অফ সিজনে দাম একটু কম। ২০ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ। হ্যাঁ, মৃতদেহের বাজারেও পিক সিজন – অফ সিজন আছে। আরজি কর হাসপাতালের মর্গে গত কয়েকবছর ধরে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রির চক্র ফুলেফেঁপে উঠেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। তিলোত্তমার খুন ও ধর্ষণে সিবিআই তদন্ত শুরুর পরই সেই অভিযোগ সামনে আসে। এখনও পর্যন্ত সবটাই অভিযোগ। প্রমাণ কিছুই হয়নি।
মর্গে কিংবা খোলা বাজারে ছড়িয়ে রয়েছে এক ধরণের অর্গ্যান চক্র। যেগুলো মূলত মেডিক্যাল এডুকেশনে কাজে আসে। এর বাইরে অর্গ্যান চক্রের টার্গেট সেইসব পরিবার, যাদের কাছের কোনও মানুষের অর্গ্যান ট্রান্সপ্লান্টের প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে বাধ্য হয়ে যে কোনও অঙ্কের টাকা দিতে রাজি হয়ে যায় ওই পরিবার। এখানে একটা কথা বলা দরকার। আগে মরদেহ থেকে একটা অর্গ্যানই খুলে নেওয়া হতো। এখন গোটা দেহ থেকে এক এক করে সবকটা অঙ্গ সরিয়ে নেওয়া হয়। কোনটা কখন বিক্রির জন্য লাগবে, বলা তো যায় না!
বার্কলে মেডিসিন সেন্টারের দাবি, ওদেশে একজন মানুষের ডেড বডির দাম উঠতে পারে কমবেশি ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ ডলার। মানে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। সরকারি- সরকারি হাসপাতালের মর্গ থেকে হাসপাতালের ইনডোর, আউটডোর – কোথায় নেই এই চক্রের সদস্যরা। তবে এদের কাছে সবচেয়ে কাজের জায়গা হাসপাতালের মর্গ।
মর্গে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ থেকে অবাধে যে কোনও অঙ্গ বের করে নেওয়া হয় বলেই অভিযোগ। সব জেনেও কেউ কিচ্ছু জানে না। দেখুন, ইদানিং চিকিত্সার সুযোগ বাড়ায় অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সংখ্যাও বাড়বে। চোখ, হাত-পা, কিডনি, লিভার এমনকি হার্ট প্রতিস্থাপন এখন সাধারণ ব্যাপার। অথচ বেশিরভাগ সময়েই রোগীর চাহিদা মতো অর্গ্যান ডোনার মেলে না। আর তাই ঘুরপথে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেনার এত চাহিদা। এবার রেট চার্টের প্রসঙ্গে আসি।