September 24, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ব্যবসা ও প্রযুক্তি

মাত্র এক গ্রামের দাম ১৪৫ মিলিয়ন ডলার!

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
পনি যদি লটারিতে কয়েকশ মিলিয়ন ডলার লাভ করেন তাহলে অত্যন্ত দামি এ পদার্থ কেনার কথা ভাবতে পারেন। কারণ এ পদার্থের প্রতি গ্রামের দাম ১৪৫ মিলিয়ন ডলার। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং।

বিশ্বের সবচেয়ে দামি পদার্থ হিসেবে একটি কার্বন যৌগিক পদার্থের নাম উঠে এসেছে। এনডোহিডরাল ফুলেরেন (Endohedral fullerene) নামে এ পদার্থ তৈরি করা যেমন কঠিন তেমন তার দামও আকাশছোঁয়া।
সম্প্রতি ডিজাইনার কার্বন ম্যাটেরিয়াল নামে একটি প্রতিষ্ঠান এ দাম প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি থেকে গত বছর এ পদার্থ তৈরি করে।
নির্মাতারা জানিয়েছেন, তারা এ পদার্থটির প্রাথমিক স্যাম্পল বিক্রি শুরু করেছেন। এটির ২০০ মাইক্রোগ্রাম তারা  ৩২ হাজার ডলার চাইছেন। এ পদার্থটির ওজন মানুষের চুলের এক তৃতীয়াংশ।
এ পদার্থটি অত্যন্ত উচ্চমূল্য হলেও তা এক সময় বিশ্ব পরিবর্তন করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এটির মলিকিউলার কাঠামো মূলত কিছু কাঠামোবদ্ধ কার্বন কণার সমষ্টি। এটি কোনো সূক্ষ্ম যন্ত্র নির্ভুলভাবে তৈরি করতে সহায়ক হবে। এছাড়া পারমাণবিক ঘড়ির মতো নির্ভুল যন্ত্র তৈরিতে এটি প্রয়োজন হবে।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে পারমাণবিক ঘড়িতে অত্যন্ত নির্ভুলভাবে সময় প্রদান করা প্রয়োজন। আর এ প্রয়োজনীয়তা মেটাতেই এ ধরনের পদার্থ প্রয়োজন।
এ বিষয়ে অক্বফোর্ড টেকনোলজি এসইআইএস ফান্ড-এর পরিচালক লুসিয়াস ক্যারি বলেন, ‘এই এনডোহিডরাল ফুলেরেন নামে পদার্থটি ব্যবহার করে মোবাইল ফোনে বসানোর মতো চিপ তৈরি করা সম্ভব। পরবর্তীতে সে চিপ ব্যবহার করে এমন সব কাজ করা সম্ভব যা আগে অসম্ভব ছিল। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হতে পারে স্বয়ংক্রিয় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা। দুটি গাড়ি যখন পরস্পরের দিকে এগিয়ে আসে তখন দুই মিটার দূরত্ব অবহিত হওয়া যথেষ্ট নয়, এক মিলিমিটার দূরত্বই যথেষ্ট।’
এ যন্ত্রটি ব্যবহারের কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে অবস্থান নির্ণয়ের জন্য জিপিএস ডিভাইস যেমন নিখুঁত হবে তেমন তা মহাকাশ গবেষণাতেও কাজে লাগবে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।

Related Posts

Leave a Reply