তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীরা বিকল্প নয়, নিজের খরচে পুলিশ চান প্রিন্স
কলকাতা টাইমস :
ব্রিটেনে থাকা অবস্থায় পুলিশি নিরাপত্তার জন্য অর্থ দিতে চান প্রিন্স হ্যারি। তবে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র দপ্তর প্রিন্স হ্যারির সেই আবদার নাকচ করে দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সিদ্ধান্ত পাল্টে পুলিশি সুরক্ষার জন্য তাকে অর্থ প্রদানের অনুমতি দিতে বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা চেয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রিন্স হ্যারির দাবি, বিদেশে (যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে) তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীদের পর্যাপ্ত ক্ষমতা নেই।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে রাজকীয় খেতাব বাদ দেওয়ার পর তিনি পুলিশি নিরাপত্তা হারিয়েছেন। প্রিন্স হ্যারি বলছেন, পরিবারের সঙ্গে তার জন্মভূমিতে যেতে চান। তবে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার।
গত বছরের জুলাই মাসে লন্ডনে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। ওই সময় একটি দাতব্য অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় তার গাড়িটি ফটোগ্রাফারদের দ্বারা তাড়া করার ঘটনা ঘটেছিল।
সরকারি বিভাগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তিনি। প্রিন্স হ্যারির আইনি বিষয়গুলো দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন জানান, আইনি দাবিটি জানানো হয়েছে গত বছরের সেপ্টেম্বরে। নিরাপত্তা পদ্ধতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য এটি করা হয়েছে। সুস্পষ্ট এবং প্রয়োজনীয় সুরক্ষার জন্য সিদ্ধান্ত পুনরায় মূল্যায়ন করার জন্য এটি করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পুলিশি নিরাপত্তা নেওয়ার বিনিময়ে প্রিন্স হ্যারি ব্যক্তিগতভাবে অর্থায়ন করতে চান। করদাতাদের (সাধারণ জনগণের) ওপর এটি চাপিয়ে দিতে চান না।
ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসরত প্রিন্স হ্যারির যুক্তি, তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীরা ব্রিটেনে পুলিশের বিকল্প হতে পারে না। কারণ, সেখানকার গোয়েন্দাদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ নেই এবং তাদের আইনি ক্ষমতাও নেই।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রিন্স হ্যারি জন্মের সময়ই উত্তরাধিকারসূত্রে জীবনের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি পেয়েছেন। তার জীবন কেন ঝুঁকিপূর্ণ সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে।
তার আইনি প্রতিনিধি বলেছেন যে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে স্যান্ড্রিংহামে পুলিশি সুরক্ষার খরচ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রিন্স হ্যারি। সাসেক্সের ভবিষ্যত ভূমিকা নিয়ে রানির সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি ওই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রিন্স হ্যারির সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ব্রিটেন সবসময় প্রিন্স হ্যারির ঠিকানা থাকবে। তিনি চান, ব্রিটেনে তার স্ত্রী এবং সন্তানরা নিরাপদে থাকুক। তবে পুলিশি সুরক্ষার অভাবে বড় ধরনের ব্যক্তিগত ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে।