চুমুতে বারণ, আলিঙ্গনেও চায় না বেশিরভাগ
কলকাতা টাইমস :
কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির ঘটনা অহরহ ঘটছে। তবে এর ব্যতিক্রমও রয়েছে। বহু জায়গায় সহকর্মীরা পারস্পরিক যোগাযোগে ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের মতো হয়ে পড়েছেন।
তবে কর্মক্ষেত্রে অনেকেই চান না যে, সহকর্মী তাকে স্পর্শ করুক। সে ক্ষেত্রে চুম্বন কিংবা আলিঙ্গনের বিষয় যে তারা সমর্থন করবেন না, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সম্প্রতি এ ব্যাপারে ব্রিটেনে একটি গবেষণা করা হয়। গবেষণার ফলাফলে উঠে এসেছে, নমুনায় স্থান পাওয়া ব্যক্তিদের অর্ধেক বলছেন, তারা এ ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। ১৩ শতাংশ জানিয়েছে, কর্মক্ষেত্রে আকস্মিকভাবে তাদের সহকর্মী চুম্বন করেছে। তাদের অনেকেই ঠোঁটে চুমু খাওয়ার বিড়ম্বনায়ও পড়েছেন। তবে বেশিরভাগ বলছেন, তারা উড়ন্ত চুমু পেয়েছেন। যা তাদের পছন্দ নয়।
গবেষণার নমুনায় স্থান পাওয়া ব্যক্তিরা বলছেন, যদি কর্মক্ষেত্রে কাউকে আরেকজন স্পর্শ করে কিংবা আলিঙ্গন করে, সেটার ভুল ব্যাখ্যা হতে পারে।
আর গবেষণাটি এমন এক সময় করা হয়, যখন মিটুহ্যাশ ট্যাগে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তৈরি হয়। অনেকেই বলছেন, অফিসে যদি কেউ তার সহকর্মীকে আলিঙ্গন করেন, তিনি আসলে পরিবেশটা ভালো করে বুঝেই উঠতে পারেননি।
সহকর্মীদের সঙ্গে হাত মেলাতেও অনেকেই সঙ্কোচ বোধ করেন। অনেকেই মত দিয়েছেন, কর্মক্ষেত্রে হাত মেলানোও বন্ধ হওয়া দরকার। এতে করে অফিসের অনেক সময় ও অর্থ বেঁচে যাবে।
অনেকেই বলছেন, সহকর্মীরা যদি স্বস্তিবোধ না করে, সে ক্ষেত্রে তা বাতিল হওয়া দরকার। কারণ, বাচ্চাদের পর্যন্ত এসব ব্যাপারে সচেতন করা হচ্ছে যে, তারা যদি কারো সঙ্গে চুম্বন ও আলিঙ্গন করতে না চায়, সেটা যেন না করে।