সমৃদ্ধি ও ধন সম্পদ বাড়ায় এই মাছ, দামই আড়াই কোটি!
মাছের দাম শুনলেই চমকিয়ে যাওয়ার কথা, এ তো অবিশ্বাস্য খবর। শত কিংবা হাজার টাকা না, লাখ টাকাও না, রীতিমত কোটি টাকা। দামী গাড়ি কিংবা অ্যাপার্টমেন্ট থেকেও বেশি একটা মাছের দাম। এশিয়ান অ্যারোয়ানা নামে মাছটি সংগ্রহ করা যেন কোটিপতিদের জন্য আভিজাত্যের বিষয়।
এশিয়ান অ্যারোয়ানা বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান জলজ প্রাণীর একটি। এর দাম প্রায় আড়াই কোটি টাকা। অ্যাকুরিয়ামে এ মাছ সংগ্রহে রাখতে পারাকে এশিয়ার এলিট সোসাইটি নিজেকে সম্মানিতবোধ মনে করে।
মূলত এ মাছকে বলা হয় ড্রাগন ফিশ। প্রায় তিন ফুট লম্বা এ মাছ। আশির দশকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এর প্রজনন শুরু হয়। এর আগে ব্যক্তিগতভাবে কেউ এটি সংগ্রহ করতো না।
পরবর্তীতে রটে গেল যে এ মাছ সংগ্রহ করলে নাকি সমৃদ্ধি ও ধন সম্পদ বাড়ে। এরপর থেকে এ মাছ অ্যাকুরিয়ামে রাখা শুরু করে বিত্তবানরা। এ মাছকে ঘিরে আগ্রহীদের এত উত্তেজনা বেড়ে গেছে যে, মাছের চোখ বা মুখ পছন্দ না হলে পছন্দমতো সেগুলোর প্লাস্টিক সার্জারিও করে ফেলছেন এর মালিকরা। পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে খরচ পড়ে এ প্লাস্টিক সার্জারি করতে।
এক সময় কিন্তু বিরল এ মাছটি পৃথিবী থেকে হারিয়ে যেতে বসেছিল। পরবর্তীতে এর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ১৯৭৫ সালে ১৮৩টি দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে এর বেচাকেনা বন্ধ হয়।
এ মাছের বাণিজ্যকে ঘিরে বড়সড় অপরাধ সংঘটিতও হয়েছে। মালয়েশিয়ায় এক অ্যাকুরিয়াম মালিক খুন হন একবার। সিঙ্গাপুর বাজারে চারটি মাছ চুরি নিয়ে তদন্ত বেশ আলোচিত হয়।
তবে বেশ কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে মাছটির কেনাবেচা সংক্রান্ত আইনে খানিকটা শিথিলতা আসায় আবার আলোচনায় আসে এশিয়ান অ্যারোয়ানা। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, চীন, সিঙ্গাপুরের কোটিপতিদের মধ্যে এ মাছের বেশি চাহিদা আছে।