সবার জন্য সবসময় প্রোটিন ! কখনওই নয়
নিরামিষভোজীরা পর্যাপ্ত প্রোটিন পায় না : যারা প্রাণিজ আমিষ খায় না তাদের প্রোটিনের অভাব হয়—এ ধারণা ঠিক নয়। উদ্ভিদের জগতেও যথেষ্ট প্রোটিনের উৎস আছে। কাজেই নিরামিষভোজীরা মাংস এড়িয়ে চলতে পারে অনায়াসে। আলমন্ডসহ বিভিন্ন ধরনের বাদাম, ডাল, শিম জাতীয় সবজি, ভাত, আলু এবং পাতাবহুল সবুজ শাকে প্রোটিন থাকে। অর্থাৎ প্রাণিজ খাবার পরিহার করলেও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের তালিকা সহজে তৈরি করা যাবে।
সবার জন্য প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট জরুরি : আরেকটি ভুল ধারণা নিয়ে চলি আমরা। সবার জন্য প্রোটিনের সাপ্লিমেন্ট দরকার হয় না। প্রোটিনের ঘাটতি যাদের শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তাদেরই সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন, বয়স, লিঙ্গ, পেশাসহ বেশ কিছু বিচারে দেহে প্রোটিনের অভাব ঘটে। কিন্তু যাদের খাওয়াদাওয়া স্বাভাবিক এবং প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার পাতে থাকে তাদের সমস্যা নেই।
প্রোটিনের মূল কাজ পেশি গঠন : এই খাদ্য উপাদানের অনেক কাজ আছে। পেশির গঠন একটি কাজমাত্র। প্রোটিনে থাকে অ্যামাইনো এসিড। হাড়, চুল, লিগামেন্ট ও সংযোগস্থলে এদের দেখা মেলে। এমনকি দেহের লো-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন এবং হাই-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও প্রোটিন ভূমিকা রাখে। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণেও প্রোটিনের দরকার। মানবদেহের গোটা কার্যক্রম পরিচালনার জন্যই আসলে প্রোটিনের দরকার।