করোনা থেকেও বড় বিপদের মুখে আমেরিকা, মানুষের আতঙ্কে লকডাউন হোয়াইট হাউস
কলকাতা টাইমস :
আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ও প্রাক্তন বাস্কেট বল তারকা জর্জ ফ্লয়েড হত্যায় শুরু হওয়া প্রতিবাদ বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। মিনোপোলিস শহর ছাড়িয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে এক ডজনের বেশি শহরে। প্রতিবাদকারীরা পরিবহন চলাচল বন্ধ করা, অগ্নিসংযোগ, দোকান লুটপাটসহ অনেক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে।
এতে মিশিগানের ডেট্রয়েটে প্রতিবাদ বিক্ষোভে এক ১৯ বছরের তরুণ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে। প্রতিবাদে অংশ নেওয়া বিশৃংখল জনতার ওপর কেউ একজন এসইউভি থেকে গুলি করলে ওই তরুণ নিহত হয় বলে জানায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সার্জেন্ট নিকলে কির্কউড বলেন, ‘শুক্রবার স্থানীয় সময় ১১ টা ৩০ মিনিটে গুলির ঘটনা ঘটেছে। তখন পুলিশ কর্মকর্তারা কয়েক ডজন প্রতিবাদকারীর মুখোমুখি ছিলেন।’ তিনি বলেন, ‘এ হত্যার সঙ্গে কোন পুলিশ কর্মকর্তা যুক্ত নয়।’
৪৬ বছর বয়স্ক জর্জ ফ্লয়েডকে ২৫ মে সন্ধ্যায় প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণ পর একজন পুলিশ অফিসার হাঁটু দিয়ে তাঁর গলা চেপে ধরলে কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে করোনা উপেক্ষা করে প্রতিবাদে সরব হন হাজার হাজার মানুষ। হত্যাকাণ্ডের দুদিন পর বিক্ষোভকারীরা সহিংস হয়ে ওঠেন এবং ২৭ মে রাতে শহরের বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন লাগিয়ে দেন। সারা রাত মিনোপোলিস পুলিশ স্টেশনের আশপাশে বিক্ষোভ করেন। এ সময় বিভিন্ন দোকানপাটে লুটপাট চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় যানবাহন ও বিভিন্ন ভবনে।
এদিকে বিক্ষোভকারীরা জমায়েত হতেই হোয়াইট হাউস লকডাউন করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে মিনেসোটার গভর্নর কারফিউ জারি করেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুলিশ এভাবে কারো সঙ্গে নির্মম আচরণ করতে পারে না। সেই সঙ্গে আমেরিকায় বসবাসরত সকল কৃষ্ণাঙ্গের ওপর এ ধরনের নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে।তারা ফ্লয়েডের নামে শ্লোগান দিচ্ছে এবং বলছে ‘আমি নিঃস্বাস নিতে পারছি না’।