November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

যাবজ্জীবনেও ‘আফশোস নেই’ প্রেমিকা, বাবা-মা-র খুনি উদয়নের  

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
প্রেমিকা আকাঙ্খা শর্মাকে নৃশংস খুনের দায়ে উদয়ন দাসকে যাবজ্জীবন সাজা দিল আদালত। বুধবার বাঁকুড়া আদালত ওই ‘সাইকো কিলার’কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। প্রায় সাড়ে তিন বছর মামলা চলার পর তাঁকে দোষীসাব্যস্ত করে সাজা দেওয়া হয়।
যদিও সাজা শোনানোর পরও নির্বিকার উদয়ন। সে জানায়, তার কোনও আফশোস নেই। ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তাকে মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর মধ্যপ্রদেশের ভোপালে নিয়ে গিয়ে প্রেমিকা আকাঙ্খা শর্মাকে খুন করে উদয়ন দাস। তারপর আকাঙ্খাল দেহ বাক্সে ভরে কংক্রিটের দেওয়ার তুলে দেয়। ধরা পড়ার পর সে স্বীকার করে বাবা-মাকেও সে খুন করেছে। এহেন সিরিয়াল কিলার উদয়ন দাসকে বাঁকুড়া আদালতে পেশ করে মামলা শুরু হয়।
বাঁকুড়ার বাসিন্দা আকাঙ্খা শর্মার নিখোঁজ হওয়া থেকে নৃশংস খুন করে মেঝেয় দেহ পুতে দেওয়ার ঘটনায় মূল মামলাটি বাঁকুড়া থানাতেই হয়। সেই মামলায় বাঁকুড়া আদালত এতদিন পর রায় শোনাল। সাইকো কিলার উদয়ন দাসের বিরুদ্ধে আকাঙ্খার পরিবারের অভিযোগ ছিল, তাঁদের মেয়ে স্বেচ্ছায় চলে যায়নি, তাঁকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। তারপর মধ্যপ্রদেশের সাকেতনগরে নিজের বাড়ির মেঝেতে দেহ পুতে দেয় উদয়ন। আকাঙ্খার দেহ উদ্ধারের পর গ্রেফতার হয় উদয়ন। তাকে দফায় দফায় জেরায় পুলিশের কাছে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। উদয়ন জেরায় স্বীকার করেছে, সে শুধু আকাঙ্খাকেই নয়, নিজের বাবা-মাকেও খুন করে পুতে দিয়েছে। রায়পুরের বাড়ির মেঝেত বাবা-মার দেহ পুতে দেওয়ার পর দীর্ঘদিন বাবাকে ফেসবুকে জীবিত রেখেছিল সে। ফেসবুকে গড়ে তুলেছিল রূপকথার সাম্রাজ্য। নিজেকে একজন মার্কিন গবেষক বলে পরিচয় দিয়েছিল সে। ফেসবুকে তাঁর ফেক প্রোফাইলে নিজেকে মস্কো-প্যারিসের বাসিন্দা বলে পরিচয় দিত উদয়ন। মোট ছ’টি ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ।

Related Posts

Leave a Reply