সেনায় যোগ দেওয়ার যে পুরস্কার পুতিন ঘোষণা করল তাতে বিদেশিদের পোয়া বারো
কলকাতা টাইমস :
একবছরেরও বেশি সময় পার হলেও থামার লক্ষণ নেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের । এই একবছরেও কোনোরকম সুবিধা করে উঠতে পারেননি ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রত্যাঘাতে বিধস্ত রুশ সেনার যুদ্ধে অনীহা দেখা দিয়েছে। আর কেউ রুশ সেনায় যোগ দিতে চাইছেন না। এহেন পরিস্থিতিতে দেশের সামরিক শক্তি বাড়াতে নয়া ফন্দি আঁটছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। নয়া নীতি প্রণয়ন করে পুতিন জানিয়েছেন, বিদেশিরা যদি ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ সেনায় যোগ দেন তাহলে অবিলম্বে তাঁরা রুশ নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন।
রুশ নাগরিকত্বের নয়া নীতিতে পুতিন জানাচ্ছেন বিদেশি ব্যক্তিদের একবছরের জন্য রুশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হবে। এই শর্ত পূরণ হলেই রুশ নাগরিকত্ব বাঁধা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের রাশিয়ার নাগরিক হিসাবে স্বীকৃতি মিলবে। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য রাশিয়ায় বসবাস করার নিয়ম তাঁদের ক্ষেত্রে লাগু হবে না বলেই জানানো হয়েছে নয়া নিয়মে। এমনকি, পুরনো নিয়ম অনুযায়ী অন্তত ছয় মাস ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিলে তারপর নাগরিকত্ব মিলত। কিন্তু নয়া নিয়মে সেই সময়সীমা থাকছে না।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লাগাতার ব্যর্থতা সামাল দিতে নানা রকমের নয়া নীতি শুরু করেছেন পুতিন। গতবছরেই সেনায় নিয়োগের বয়সের উর্ধ্বসীমা বাড়ানো হয়েছিল, যেন সেনার শক্তি আরও বাড়ে। এমনকি, রুশ সেনায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রেও বয়সসীমা অনেকটা বাড়ানো হয়েছিল। শুধু বয়সসীমা বাড়ানো নয়, রুশ সেনাবাহিনীতে সর্বোচ্চ নিয়োগের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয় নয়া নীতি প্রণয়ন করে। ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, ইউক্রেনের প্রত্যাঘাতে অন্তত ২ লক্ষ রুশ সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। এহেন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সেনার সংখ্যা বাড়ানো ছাড়া আর কোনও উপায় নেই পুতিনের কাছে। সেই কারণেই জনমোহিনী নীতি প্রণয়ন করে সেনায় যোগদানের সংখ্যা বাড়াতে চাইছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। মূলত ইউক্রেনের রুশ অধিকৃত অঞ্চলেই এই নতুন নিয়ম কার্যকরী হবে।