সিলিকন ভ্যালি এখন লক্ষ ভারতের আগামী প্রজন্মের
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
অর্থনীতিবিদ ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন বললেন, ‘তরুণ উদ্যোগপতি যারা হতে চান, তাঁদের মানসিকতা কিন্ত্ত বিরাট কোহলির মত৷ তাঁরা রীতিমত দাপটের সঙ্গে বলতে পারেন, তাঁরাই শ্রেষ্ঠ, সেটা তাঁরা করে দেখাতেও পারেন! কিন্ত্ত তাঁদের অনেকেই চলে যাচ্ছেন হয় সিঙ্গাপুর বা নয়ত আমেরিকার পশ্চিমে, সিলিকন ভ্যালিতে৷
এই তরুণ প্রজন্মের যে অংশ দেশের বাইরে এত সফল, তাদের সাফল্য কি দেশীয় পরিসরে ঘটতে পারে না? এই প্রসঙ্গেই তাদের উদ্যমকে বিরাটের মারকাটারি ব্যাটিং ও আগ্রাসী ভাবভঙ্গির সঙ্গে তুলনা করেন প্রাক্তন গভর্নর তথা অর্থনীতিবিদ রাজন৷ ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতের উন্নত অর্থনীতি- শীর্ষক এক আলোচনাচক্রে রাজন বলেন, ‘এই মুহূর্তে ভারতের সোনালি সময় চলছে৷ আর আমাদের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের আশেপাশে৷ এটা উদ্বেগের কারণ, চিন বা কোরিয়ার যখন সোনালি সময় ছিল তখনকার থেকে ভারতের বর্তমান বৃদ্ধির হার অনেক কম৷’ বস্তুত মোদি যে ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশ হিসাবে তুলে ধরার দাবি জানাচ্ছেন, সেটাকে কার্যত খারিজ করে দিয়েছেন রাজন৷ ঘুরিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, যুব সমাজকে কাজের সুযোগ করে দিতে ব্যর্থ মোদি সরকার৷কারণ হিসাবে তিনি বলছেন, যুব সমাজের কাজের সুযোগ না থাকা৷
রাজন আরও বলেছেন, ডেমোক্র্যাটিক ডিভিডেন্ডের পুরো সুবিধে ভারত উশুল করতে পারছে না৷ তাঁর কথায়, ‘এইজন্যই আমি ৬ শতাংশ বৃদ্ধির কথা বলেছিলাম৷ ডেমোক্র্যাটিক ডিভিডেন্ডের মধ্যে থেকেও দিনের শেষে ওই ৬ শতাংশ বৃদ্ধিই হচ্ছে৷ যা চিন বা কোরিয়ার চাইতে অনেক কম৷ এটাকে বিরাট কিছু বলে দেখানোর চেষ্টায় আসলে খামতি আছে৷ তার মানে এই নয় যে আমাদের দেশে ডেমোক্র্যাটিক ডিভিডেন্ড নেই৷ বরং আমি বলতে চাইছি, আমরা ওই তরুণদের সেই জায়গাটা দিতে পারছি না, সেই চাকরিটা দিতে পারছি না, যেটা তাঁদের প্রাপ্য৷’ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নরের উদ্বেগ, আজ ভারতের বহু যুবক-যুবতী সিঙ্গাপুর বা সিলিকন ভ্যালি চলে যাচ্ছেন যাতে গোটা বিশ্বের বাজারের সুবিধা পেতে৷ আমাদের ভাবতে হবে, কেন ওরা দেশের বাইরে যেতে বাধ্য হচ্ছে৷ দেশে কাজের সুযোগ তৈরি করতে হবে৷রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নরের মতে, ভারতকে উন্নতি করতে গেলে সবার আগে দেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যাকে আরও শিক্ষিত এবং দক্ষ করতে হবে৷
রাজন আরও বলেন, ‘তাহলে প্রশ্নটা থেকে যায়, আমরা ওই চাকরি তৈরি করব কীভাবে? আমার যেটা মনে হয়, দু’ভাবে হতে পারে৷ এক, আমরা পরিকাঠামো ও দক্ষতা বাড়ানোর দিকে চেষ্টা করতে পারি৷ দুই, চাকরির চরিত্রও বদল করতে হতে পারে, তাকে আরও উন্নত ও উপযুক্ত করা যেতে পারে৷ দুইভাবেই আমাদের কাজ করতে হবে৷ কিন্ত্ত চাকরি আমরা কীভাবে তৈরি করব? যেমন ধরা যাক, বৈদু্যতিন সরঞ্জামের চিপ তৈরি৷’ রাজন বরাবরই এই ক্ষেত্রে ভারতের বিপুল পরিমাণ খরচের বিরুদ্ধে৷ ‘কোটি কোটি টাকা চলে যাচ্ছে চিপ প্রস্তুতিকরণ শিল্পে ভর্তুকি দিতে৷ অথচ চাকরি তৈরি করতে পারে এমন একটা ক্ষেত্র হল চর্মজাত দ্রব্য প্রস্তুতকরণ, যার অবস্থা এই মুহূর্তে ভাল নয়৷ অথচ সেখানে না আছে ভর্তুকি, না আছে বিনিয়োগ!’
এই তরুণ প্রজন্মের যে অংশ দেশের বাইরে এত সফল, তাদের সাফল্য কি দেশীয় পরিসরে ঘটতে পারে না? এই প্রসঙ্গেই তাদের উদ্যমকে বিরাটের মারকাটারি ব্যাটিং ও আগ্রাসী ভাবভঙ্গির সঙ্গে তুলনা করেন প্রাক্তন গভর্নর তথা অর্থনীতিবিদ রাজন৷ ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতের উন্নত অর্থনীতি- শীর্ষক এক আলোচনাচক্রে রাজন বলেন, ‘এই মুহূর্তে ভারতের সোনালি সময় চলছে৷ আর আমাদের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের আশেপাশে৷ এটা উদ্বেগের কারণ, চিন বা কোরিয়ার যখন সোনালি সময় ছিল তখনকার থেকে ভারতের বর্তমান বৃদ্ধির হার অনেক কম৷’ বস্তুত মোদি যে ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশ হিসাবে তুলে ধরার দাবি জানাচ্ছেন, সেটাকে কার্যত খারিজ করে দিয়েছেন রাজন৷ ঘুরিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, যুব সমাজকে কাজের সুযোগ করে দিতে ব্যর্থ মোদি সরকার৷কারণ হিসাবে তিনি বলছেন, যুব সমাজের কাজের সুযোগ না থাকা৷
রাজন আরও বলেছেন, ডেমোক্র্যাটিক ডিভিডেন্ডের পুরো সুবিধে ভারত উশুল করতে পারছে না৷ তাঁর কথায়, ‘এইজন্যই আমি ৬ শতাংশ বৃদ্ধির কথা বলেছিলাম৷ ডেমোক্র্যাটিক ডিভিডেন্ডের মধ্যে থেকেও দিনের শেষে ওই ৬ শতাংশ বৃদ্ধিই হচ্ছে৷ যা চিন বা কোরিয়ার চাইতে অনেক কম৷ এটাকে বিরাট কিছু বলে দেখানোর চেষ্টায় আসলে খামতি আছে৷ তার মানে এই নয় যে আমাদের দেশে ডেমোক্র্যাটিক ডিভিডেন্ড নেই৷ বরং আমি বলতে চাইছি, আমরা ওই তরুণদের সেই জায়গাটা দিতে পারছি না, সেই চাকরিটা দিতে পারছি না, যেটা তাঁদের প্রাপ্য৷’ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নরের উদ্বেগ, আজ ভারতের বহু যুবক-যুবতী সিঙ্গাপুর বা সিলিকন ভ্যালি চলে যাচ্ছেন যাতে গোটা বিশ্বের বাজারের সুবিধা পেতে৷ আমাদের ভাবতে হবে, কেন ওরা দেশের বাইরে যেতে বাধ্য হচ্ছে৷ দেশে কাজের সুযোগ তৈরি করতে হবে৷রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নরের মতে, ভারতকে উন্নতি করতে গেলে সবার আগে দেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যাকে আরও শিক্ষিত এবং দক্ষ করতে হবে৷
রাজন আরও বলেন, ‘তাহলে প্রশ্নটা থেকে যায়, আমরা ওই চাকরি তৈরি করব কীভাবে? আমার যেটা মনে হয়, দু’ভাবে হতে পারে৷ এক, আমরা পরিকাঠামো ও দক্ষতা বাড়ানোর দিকে চেষ্টা করতে পারি৷ দুই, চাকরির চরিত্রও বদল করতে হতে পারে, তাকে আরও উন্নত ও উপযুক্ত করা যেতে পারে৷ দুইভাবেই আমাদের কাজ করতে হবে৷ কিন্ত্ত চাকরি আমরা কীভাবে তৈরি করব? যেমন ধরা যাক, বৈদু্যতিন সরঞ্জামের চিপ তৈরি৷’ রাজন বরাবরই এই ক্ষেত্রে ভারতের বিপুল পরিমাণ খরচের বিরুদ্ধে৷ ‘কোটি কোটি টাকা চলে যাচ্ছে চিপ প্রস্তুতিকরণ শিল্পে ভর্তুকি দিতে৷ অথচ চাকরি তৈরি করতে পারে এমন একটা ক্ষেত্র হল চর্মজাত দ্রব্য প্রস্তুতকরণ, যার অবস্থা এই মুহূর্তে ভাল নয়৷ অথচ সেখানে না আছে ভর্তুকি, না আছে বিনিয়োগ!’