৮ মহিলার মাথা কাটার আগে লাশকে ধর্ষণ করাই ছিল তার নেশা, বাদ দেয়নি মা কেও
কলকাতা টাইমস :
ছেলেটা খুব উজ্জ্বল, বুদ্ধিদীপ্ত। কিন্তু বুদ্ধিদীপ্ত হলে কী হবে‚ মাঝে মাঝেই বেরিয়ে আসে ওর পাশবিক প্রবৃত্তি। মাত্র ২৫ বছর বয়সের মধ্যে ৮ জনকে খুন করে সে। সবাই মহিলা। ৬ জন শিক্ষার্থী। বাকি দুজন তার মা এবং মায়ের বান্ধবী। তিনি হলেন এডমন্ড এমিল কেম্পার। অপরাধ দুনিয়ায় তার আরও পরিচয় আছে‚ কসাই নামে। তিনি একাধারে সিরিয়াল কিলার‚ ধর্ষক‚ শবকামী এবং নরখাদক।
এডমন্ডের জন্ম ১৯৪৮ সালে‚ আমেরিকার ক্যালিফর্নিয়ায়। কৈশোরেই তার উচ্চতা দাঁড়ায় ৬ ফিট ৪ ইঞ্চি। মা মাঝে মাঝেই ছেলের উচ্চতা নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করতেন। মায়ের উপর আক্রোশ মেটাতে এডমন্ড জ্যান্ত পুঁতে ফেলল পোষা বিড়ালকে। তারপর মাটি খুঁড়ে বিড়ালের দেহ বের করে তার মাথা কেটে ফেলে ১৫ বছর বয়সী এডমন্ড।
এডমন্ডের মানসিক অবস্থার আরও অবনতি হয়‚ যখন তার বাবা মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ১৫ বছর বয়সী এডমন্ড থাকতে যায় দাদু-ঠাকুমার কাছে। সেখানে গিয়ে এই কিশোর খুন করে নিজের ঠাকুমাকে । কারণ সে জানতে চেয়েছিল‚ নিজের ঠাকুরমাকে খুন করলে কেমন লাগে ! খুন করে দাদুকেও । কেন? সে চেয়েছিল‚ ভদ্রলোক বুঝুক‚ স্ত্রী মারা গেলে কেমন লাগে !
ধরা পড়ার পরে নাবালক অপরাধী হিসেবে এডমন্ডের স্থান হয় সংশোধনাগারে। সাইকোটিক‚ প্যারানয়েড স্কিজোফ্রেনিক এডমন্ডের মানসিক চিকিৎসা চলে। কিন্তু তাতে যে কোনও কাজ হয় না‚ সেটা বোঝা যায় তার মুক্তির পরেই। মুক্তির পরে এডমন্ড থাকতে যান মা‚ ক্লারনেলের কাছে। ততদিনে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছেন ক্লারনেল। এবার এডমন্ডের মধ্যে রক্তের স্বাদ। আবারও খুন করলেন আর একটা পোষা বিড়ালকে। তারপর শিকার ধরতে বেরোলেন রাস্তায়‚ গাড়ি চালিয়ে।
যে সব কিশোরীরা হিচ হাইকিং করে ঘোরে রাস্তায়‚ তাদের নিশানা করতেন তিনি। তার ভদ্র মুখ দেখে কিছু না ভেবেই গাড়িতে উঠে পড়ত মেয়েরা। প্রতি বার একটি করে মেয়েকে গাড়িতে তুলতেন এডমন্ড। তারপর নিয়ে যেতেন নিজের বাড়িতে। সেখানে শ্বাসরোধ করে খুন করতেন শিকারকে। মৃতদেহের সঙ্গে রাত কাটিয়ে পরে কেটে ফেলতেন তাদের মাথা। আক্ষরিক অর্থেই বল খেলতেন কাটা মুণ্ডু নিয়ে! এরপর লোপাট করে ফেলতেন গোটা দেহটাই।
এভাবে ৬ জন কিশোরীকে নিকেশ করার পরে একদিন ঘুমন্ত মাকে খুন করেন এডমন্ড। প্রথমে মাথায় হাতুড়ি মেরে‚ তারপর গলা কেটে খুন করেন ৫২ বছর বয়সী ক্লারনেলকে। এরপর মায়ের শবের সঙ্গেও যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হন এই বিকৃতকাম। মৃতার মাথা কেটে সেটি নিয়ে বল খেলেন এডমন্ড। তারপর দেহাংশ লুকিয়ে রাখে আলমারিতে।
এখানেই শেষ নয়। এবার এডমন্ড বাড়িতে ডাকেন মায়ের বান্ধবী সারাকে। ডিনার এবং সিনেমা দেখার জন্য। কিছু না বুঝে ফাঁদে পা দেওয়ার ফলে ৫৯ বছর বয়সী সারার পরিণতিও হয় বান্ধবীর মতোই। দুটি দেহ আলমারিতে রেখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান এডমন্ড।পরে নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। শাস্তি হয় আজীবন কারাদণ্ড।