সত্যিই ডেথ নুডলস, খেলেই দু কানে বধির !

হাতে যখন সময় কম, তখন চটজলদি খাবারের একমাত্র বিকল্প হয়ে ওঠে নুডলস। এটা মজাদার আর পুষ্টিকর। যারা ঝাল বেশি খান, তারা তো লঙ্কা আর মসলা একটু বেশিই দেন। অনেকে আবার এমন ঝাল দেন যে চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে আসে। দু কান ভোঁ ভোঁ করে। এবার জেনে নিন এমন এক নুডলের কথা যেটি খেলে রীতিমতো বধির বনে যাবেন কিছু সময়ের জন্য। এটাকে শেফরা ‘ডেথ নুডলস’ বলেই ডাকেন।
নতুন কোনো নুডলস নয়। বছরখানেক আগে থেকেই এটাকে সমীহের চোখে দেখেন নুডলসের পাঁড় ভক্তরা। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় শেফ বেন সুমাদিউইরিয়া সেই ডেথ নুডলস খাওয়ার চ্যালেঞ্জ নিজেই গ্রহণ করেন।
পরে জানিয়েছেন শেফ। ডেথ নুডলস বানাতে ১০০টি বার্ডস-আই চিলি ব্যবহার করা হয়েছে। থাই চিলি নামে পরিচিত অত্যাধিক ঝাল এক মরিচের জাত এটি। খুব ঝাল একটি সস আছে। ওটার নাম ‘টাবাস্কো’। এটি খেলে মুখ দিয়ে লালা ঝরবে। বলা হয়, ডেথ নুডলসের ঝাল টাবাস্কো সসের চেয়ে ৪ হাজার গুন বেশি! তা ছাড়া এটিই নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে মসলাদার নুডলস।
যারা এই নুডলস খাওয়ার সাহস করেছেন তারের অভিজ্ঞতা শুনুন, প্রথমে মুখে পুড়লে স্বাদটা বোঝার জন্য তো কিছু সময় দিতে হয়। ওই সময় পরই আপনি তীব্র অনুতাপে ভুগতে থাকবেন। কারো সঙ্গে চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেতে গেলো পুরোটই তো গিলতে হবে। ওটাই হবে জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। নাক আর কপাল থেকে ঘাম বেরিয়ে আসবে সঙ্গে সঙ্গে। নাকের পানি আর চোখের পানির জন্য টিস্যু বক্স রাখতে হবে।
যে শেফ এটা খাওয়ার সাহস করেছিলেন তিনি অভিজ্ঞতা বয়ান করেছিলেন এভাবে, আমি কিছুই শুনতে পারছিলাম না। বধির হয়ে গেলাম বেশ কিছু সময়ের জন্য।
ইতিমধ্যে ১০-১৫ লাখ মানুষ নাকি এই অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করেছেন। ডেথ নুডলস খেলে নাকি বোঝা যায়, মানবজীবনে অনেক কিছুরই সীমাব্ধতা রয়েছে। যারাই খেয়েছেন, অধিকাংশই নাকি কিছু সময়ের জন্য বধির হয়ে গিয়েছিলেন।