অবাক করা কারণে একেক জনের ঘামে একেক রকম গন্ধ
কলকাতা টাইমস :
ঘাম আমাদের দৈনন্দিন জীবনের শারীরিক একটি অংশ। উষ্ণ আবহাওয়ায় কিছুক্ষণ থাকলে বা কোনো ধরণের শারীরিক পরিশ্রম করলে মানুষের শরীর থেকে ঘাম নির্গত হওয়া খুব স্বাভাবিক বিষয়। ঘামের প্রতি বিরক্ত কমবেশি সব মানুষই। শুধু কি ঘাম? ঘামের দুর্গন্ধ নিয়েও অস্বস্তিতে ভোগেন অনেকে।
অবশ্য সকলে যে একই রকমভাবে ঘামেন বা সকলের ঘামেই যে গন্ধ হয়, তেমনটা কিন্তু নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নানা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার মতো ঘামও একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু ঘামে দুর্গন্ধ হওয়ার প্রধান কারণ হল ত্বকে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া।
প্রাথমিকভাবে ঘাম কম হওয়ার জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি। শরীরের যে যে অংশে ঘাম হয়, সেই জায়গাগুলো ভাল করে ধুয়ে পরিস্কার রাখলে এবং অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড দেওয়া সুগন্ধি ব্যবহার করলে এই সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যায়। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, এতকিছু করেও ঘামের গন্ধ বদলানো যায় কি?
আপাতদৃষ্টিতে আদা, রসুন বেশি খেলে সেই গন্ধ ঘামের সঙ্গে শরীরের বাইরে আসতেই পারে। তাই সেই জাতীয় জিনিস না খেলেই এর থেকে মুক্তি মিলবে। কফি, মদ জাতীয় পানীয় কম খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিনের ডায়েটে অবশ্যই লেবু জাতীয় ফল রাখতে হবে। কার ঘামের গন্ধ কেমন হবে, তা নির্ভর করে তাঁর শারীরিক অবস্থার উপরেও। মেয়েদের ক্ষেত্রে যেমন ঋতুচক্র শুরুর আগে এবং ঋতুচক্র বন্ধের সময়ে ঘামের গন্ধ পরিবর্তন হয়।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ঘামের গন্ধ নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও পুরোপুরি পাল্টানো কখনোই সম্ভব নয়। ঘাম কম হয় এমন কাপড়ের জামা পরার চেষ্টা করতেই পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।