চিনে নিন বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক যারা অধিকাংশ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী
কলকাতা টাইমস :
বিশ্বের বিপজ্জনক প্রাণীদের মাঝে এমন সব প্রাণী রয়েছে, যা আপাতদৃষ্টিতে আমরা তেমন বিপজ্জনক বলে মনে করি না। কিন্তু এসব প্রাণীর অনেকগুলোই বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কয়েকটি প্রাণীর তালিকা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১৫. হাঙর
হাঙর বিশ্বের বিপজ্জনক প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম। এ প্রাণীটির আক্রমণে গত বছরে ছয়জনের মৃত্যু হয়। তবে হাঙর বিপজ্জনক প্রাণী হলেও খুব একটা যে আক্রমণ করে তা নয়। মূলত এদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখলেই চলে।
১৪. নেকড়ে
বিশ্বের বিপজ্জনক প্রাণীদের মধ্যে ১৪তম নেকড়ে। এটি বিশ্বের বহু অংশেই বসবাস করে। প্রতিবছর বিশ্বের প্রায় ১০ জন মানুষ নেকড়ের আক্রমণে মারা যায়।
১৩. সিংহ
বনের রাজা সিংহ বিনা কারণে মানুষকে আক্রমণ করে না বলেই জানা যায়। তবে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে সিংহের আক্রমণে প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। পরিসংখ্যানে জানা যায় সিংহের আক্রমণে বছরে ২২ জনের বেশি মানুষ মারা যায়।
১২. হাতি
হাতিকে শান্ত-শিষ্ট প্রাণী মনে হলেও হঠাৎ করেই হাতি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। আর প্রতিবছর হাতির আক্রমণে পাঁচ শতাধিক মানুষ মারা যায়। অবশ্য মানুষের আক্রমণে প্রতিবছর এর চেয়েও বেশি হাতি মারা যায়।
জলহস্তি একটি হিংস্র প্রাণী। এটি আফ্রিকায় প্রচুর মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। এমনকি চলন্ত নৌকাকেও হামলা করতে ছাড়ে না এ প্রাণী। প্রতিবছর প্রায় ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয় জলহস্তির আক্রমণে।
ফিতাকৃমি এমন এক প্রাণী, যার দেখা পাওয়া মুশকিল। কিন্তু অন্তরালে থেকে এটি বহু মানুষের মৃত্যু ঘটায়। পেটের ভেতর এটি সংক্রমণ ঘটায় এবং বছরে প্রায় ৭০০ মানুষের মৃত্যু ঘটায়।
৯. কুমির
আফ্রিকায় প্রতিবছর প্রচুর মানুষের মৃত্যু ঘটায় কুমির। এ সংখ্যা প্রায় এক হাজার।
৮. গোলকৃমি
গোলকৃমি মানুষের দেহের অভ্যন্তরে বাস করে এবং প্রচুর মানুষের মৃত্যু ঘটায়। প্রতিবছর প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী এ গোলকৃমি।
৭. টিসেটসি মাছি
আফ্রিকার মাছি টিসেটসি মারাত্মক একটি রোগের জন্য দায়ী। স্লিপিং সিকনেস নামে এ রোগে মারাত্মক মাথাব্যথা, জ্বর, অস্থিসন্ধি ব্যথা, চুলকানি ইত্যাদি দেখা যায়। পরবর্তীতে মস্তিষ্কের আরও কিছু জটিলতা তৈরি হয়, যা থেকে রোগীর মৃত্যু হয়। এ রোগে বছরে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়, যে জন্য দায়ী এ মাছি।
অ্যাসাসিন বাগ নামে এক ধরনের ছারপোকা খুবই বিপজ্জনক। একে কিসিং বাগও বলা হয়। এটি চ্যাগাস ডিজিজ নামে একটি রোগ বহন করে। এ রোগে বছরে প্রায় ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
৫. স্বাদুপানির শামুক
স্বাদুপানির শামুক প্রতিবছর বহু মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। এটি মূলত প্যারাসাইটিক পরজীবী বহন করে। এটি মানুষের দেহে চলে এলে পেটের মারাত্মক ব্যথা তৈরি হয় এবং মানুষের মৃত্যু হয়। এ রোগে বছরে প্রায় ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
কুকুরের বহু রূপ রয়েছে। আপনি কিভাবে প্রাণীটিকে পুষছেন কিংবা রাখছেন তার ওপর বহু বিষয় নির্ভর করে। কুকুর নিরাপত্তার কাজসহ নানা ধরনের জীবন রক্ষাকারী কাজে পারদর্শী। তবে এ কুকুরই আবার সঠিকভাবে যত্ন না নিলে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আর এ অবস্থায় মানুষকে কামড়ালে মানুষেরও মৃত্যু ঘটে। জলাতংক রোগে প্রতিবছর ৩৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়, যার ৯৯ শতাংশই কুকুরের মাধ্যমে ছড়ায়।
৩. সাপ
প্রায় সারা পৃথিবীতেই রয়েছে বিপজ্জনক প্রাণী সাপ। এ প্রাণীটির কামড়ে বছরে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু ঘটে। আর এ কারণে সাপ মানুষের মৃত্যুর জন্য তৃতীয় দায়ী প্রাণী।
২. মানুষ
মানুষই মানুষের বড় শত্রু। আর এ কথাটি যে মোটেই ভুল নয় তার প্রমাণ পরিসংখ্যান। প্রতিবছর মানুষ প্রায় ৪ লাখ ৩৭ হাজার মানুষকে খুন করে।
সামান্য মশার কামড়কে অনেকে কোনো গুরুত্বই দেন না। যদিও মশা আমাদের কত ক্ষতি করে তা জানলে আপনি হয়ত মশার দিকে আর সেভাবে তাকাবেন না। পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যুর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী প্রাণীর নাম মশা। এ প্রাণীটি প্রতিবছর সাড়ে সাত লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়া ইত্যাদি রোগ হয়। আর এসব রোগেই মূলত মানুষের মৃত্যু ঘটে।