কানের টানেই একেবারে সুস্থ হয়ে উঠবে শরীর
কলকাতা টাইমস :
সব কিছুতে যুক্তি খোঁজা আমাদের জন্মগত অভ্যাস হলেও এই পৃথিবীতে এমন অনেক কিছু রয়েছে যা বাস্তবে কার্যকরি হলেও যুক্তির দুনিয়ায় এদের তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না বললেই চলে। যেমন ধরুন, এই প্রবন্ধে যে চিকিৎসা পদ্ধতিটি নিয়ে আলোচনা করা হবে তা শরীরকে সার্বিকভাবে সুস্থ করে তুলতে কার্যকরী ভূমিকা নিলেও সেভাবে জনপ্রিয়তা পায়নি। কেন? এর উত্তর তো লুকিয়ে আছে আমাদের অজ্ঞতার মধ্য়েই। তাই না! সেই আদি কাল থেকে সারা বিশ্বে আকুপাঞ্চার পদ্ধতি এত জনপ্রয়িতা পেলেও আমাদের দেশে সেভাবে এই চিকিৎসা শাস্ত্রের প্রসার ঘটেনি। কিন্তু বাস্তবে একাধিক রোগের উপসমে এই পদ্ধতি দারুন কাজে আসে। এই পদ্ধতিতে শরীরে কিছু বিশেষ অংশে চাপ প্রয়গের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। এই প্রবন্ধে যেমন আপনাদের সামনে তুলে ধরব কানের কিছু অংশে চাপ দিলে কেমন উপকার পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে।
কানে একাধিক প্রেসার পয়েন্ট বিশেষ অংশ রয়েছে, যার সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশের যোগ রয়েছে। এই অংশগুলিতে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে চাপ দিলে শরীরের ওইসব অংশে যেসব সমস্যা হচ্ছে তা ধীরে ধীরে কমে যায়। কেমন ভাবে এমনটা সম্ভব হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
স্পট ১: উপরের ছবিতে ১ নং স্পট হিসেবে যে জায়গাটা দেখানো হয়েছে, তার সঙ্গে পিঠ এবং কাঁধের যোগ রয়েছে। তাই তো এই জায়গায় জামাকাপড় মেলার ক্লিপ অথবা হাত দিয়ে মাত্র ৬০ সেকেন্ড চাপ দিয়ে রাখলেই পিঠ এবং কাঁধের অনেক সমস্যাই কমে যায়। তবে প্রতিদিন এমনটা করতে হবে, তবেই ভাল ফল পাওয়া যাবে। প্রসঙ্গত, সারা দিন অফিসে চেয়ারে বসে কাজ করলে অনেক সময়ই পিঠে খুব যন্ত্রণা হয়। এই ধরনের কষ্ট কমাতেও এই পদ্ধতি দারুন কাজে আসে।
স্পট ২: ২ নং জায়গায় একই ভাবে চাপ দিলে দেখবেন শরীরের মধ্য়ে চলতে থাকা অস্বস্তি কমে যাবে। অনেক সময়ই নানা কারণে মনে হয় যেন শরীরের ভিতরে কেমন যেমন উথাল পাতাল হচ্ছে। এইসব ক্ষেত্রে আকুপাঞ্চারের এই পদ্ধতিটি বেশ কাজে আসে।
স্পট ৩: কানের এই অংশের সঙ্গে আমাদের জয়েন্টের সম্পর্ক রয়েছে। তাই তো এই অংশে সামান্য চাপ দিলে জয়েন্টের অনেক সমস্যাই কমে যায়। বিশেষত যারা জয়েন্টর ব্যথায় মাঝে মধ্যেই কাবু থাকেন, তারা এই পদ্ধতিটির সাহায্য নিতে পারেন। দেখবেন ভাল ফল পাবেন।
স্পট ৪: সাইনাসের সমস্যা ভুগছেন নাকি? তাহলে কানের এই অংশে প্রতিদিন ৬০ সেকেন্ড করে চাপ দিন। এমনটা করলে অল্প দিনেই আপনার কষ্ট কমতে শুরু করবে। প্রসঙ্গত, গলার একাধিক সমস্যা কমাতেও কানের এই অংশে চাপ দিলে ভাল ফল পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, নাক বন্ধের কারণে ঘুম না আসলে শুয়ে শুয়েই এই পদ্ধতিটিকে কাজে লাগান। দেখবেন খুব আরাম পাবেন।
স্পট ৫: কানের এই অংশের সঙ্গে আমাদের হজম ক্ষমতার যোগ রয়েছে। তাই তো যারা বদহজমের সমস্যা ভুগছেন তারা প্রতিদিন কাপড় কাচার ক্লিপের সাহায্যে কানের ৫ নং অংশে ৬০ সেকেন্ড প্রেসার দিয়ে রাখুন। এমনটা করলে দেখবেন বদহজম সহ একাদিক হজম সংক্রান্ত সমস্যা কমে যেতে শুরু করবে।
স্পট ৬: হার্ট এবং মস্তিষ্কের সঙ্গে যোগ রয়েছে এই ৬ নং অংশের। তাই তো এখানে চাপ প্রয়োগ করলে মাইগ্রেন এবং মাথার যন্ত্রণা কমতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, হার্টের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটে, যদি নিয়মিত এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করা যায় তো।