এই মন্ত্রগুলির কোনওটি নিয়মিত পাঠ হঠাৎ অ্যাক্সিডেন্টের হাত থেকে বাঁচাবে
রুদ্রমালা মন্ত্র: শাস্ত্র মতে এটি হল সবথেকে শক্তিশালী তন্ত্র সাধনার মন্ত্র। তাই যখন-তখন এটি পাঠ করা উচিত নয়। বরং দেখবেন যখন প্রতিপক্ষদের মারে জীবন একেবারে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে, নিজেকে বাঁচানোর আর কোনও রাস্তাই নেই, তখন এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করবেন। দেখবেন নিমেষে আপনার প্রতিপক্ষদের শক্তি কমে যাবে। অন্যদিকে আপনার শক্তি এতটা বাড়তে শুরু করবে যে কোনও খারাপ শক্তিই আপনাকে সফলতার পথে এগিয়ে যেতে আটকাটে পারবে না। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। তা হল যারা আগোরি মতে তন্ত্রসাধনা করেন, তাদের পক্ষেই এই মন্ত্রটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের পক্ষে কিন্তু এই শক্তিশালী মন্ত্রটিকে কাজে লগানো সম্ভব নাও হতে পারে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল- “ওম ভিভাইয়া নাম গন্ধারভোলচিনি নামি লুসাতিকর্ণাই তাসমাই বিশ্বওয়া সোয়াহা”। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্রটি নিয়মিত ১০০০ বার পাঠ করলে উপকার মিলতে সময় লাগে না।
মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র: শাস্ত্র মতে এই শিব মন্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে পাঠ করা মাত্র নানাবিধ বিপদ ঘটার আশঙ্কা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে খারাপ সময় কেটে যেতেও সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করলে আমাদের শরীর এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা এতটাই বেড়ে যায় যে ছোট-বড় কোনও রোগ-ব্যাধিই শরীরকে ছুঁতে পারে না। ফলে আয়ু বাড়ে চোখে পরার মতো। তবে এক্ষেত্রে কতগুলি বিষয় মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। তা হল- খারাপ সময়ে এই মন্ত্রটি পাঠ করলে উপকার মিলবেই মিলবে, একা বসে কিন্তু মন্ত্রটি পাঠ করতে হবে, মন্ত্রটি যখন পাঠ করবেন তখন যেন খালি পেট থাকে এবং মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র কম করে ১০৮ বার পাঠ করলে দেখবেন জীবনের ছবিটা বদলে যাবে চোখের পলকে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল- “অম ত্রাম্বাকাম য়াজামাহে পুষ্টি ভার্ধানাম উর্ভারুকাম ইভাবান্ধানাম ম্রুথ্যর্মুক্শিয়া মামরুথাম”।
বগলামুখি মন্ত্র: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে একবার মা বগলামুখিকে প্রসন্ন করতে পারলে কর্মক্ষেত্রে উন্নতির রাস্তা যেমন প্রশস্ত হয়, তেমনি অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, মায়ের আশীর্বাদে যারা আপনাদের ক্ষতি করতে চায়, তাদের যেমন নিকেশ ঘটে, তেমনি হঠাৎ করে কোনও বিপদ বা দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে। তাই তো বলি বন্ধু, বাকি জীবনটা যদি নিরাপদে থাকতে চান, তাহলে “ওম হ্লিম বাগলামুখী সর্বদুষ্ঠনাম ওয়াকম মুখম পদম, স্তম্ভয় জিহ্বা কিলে বুদ্ধি বিনাশয় হ্লিম ওম সোয়াহা”, এই মন্ত্রটি পাঠ করতে ভুলবেন না যেন!