অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি, এই পদ্ধতি জানাবে কোমা থেকে ফেরার দিন
কলকাতা টাইমস :
কোমায় চলে যাওয়া মানে একধরণে মৃত্যু। এই অবস্থা থেকে ফিরে আসেন অনেকেই। আবার অনেকেই চিরতরে ঘুমিয়ে যান। রোগী কবে কোমা থেকে ফিরবেন? চিকিৎসকদের কাছে এত দিন এই প্রশ্নের উত্তর ছিল না৷ কিন্তু বিজ্ঞানীরা এবার এর উত্তরও খুঁজে বের করেছেন৷ যেসব রোগীরা মস্তিষ্কে আঘাত পেয়ে কোমায় চলে গিয়েছেন, তারা এক বছরের মধ্যে কোমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে কি না, তা বলে দেবেন বিজ্ঞানীরা৷
দীর্ঘ গবেষণায় বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, মস্তিষ্ক কতটা পরিমাণ গ্লুকোজ (সুগার) গ্রহণে সক্ষম তা দেখে কোমায় চলে যাওয়া রোগীর বর্তমান অবস্থা বলে দেওয়া সম্ভব৷ এই বিষয়টি দেখেই বোঝা যাবে যে এক বছরের মধ্যে রোগী সচেতন হয়ে উঠতে পারবেন কি না৷
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়ালে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রণ কুপার্স বলছেন, “আমাদের এই গবেষণা থেকে বোঝা যাচ্ছে, মস্তিষ্কে আঘাত লাগার পর চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখতে ন্যূনতম শক্তির প্রয়োজন৷ গ্লুকোজই সেই শক্তি জোগাচ্ছে৷”
একজন রোগীর মস্তিষ্ক ঠিক কতটা সাড়া দিতে সক্ষম, তা জানতে একটি পরীক্ষা করেন গবেষকরা৷ কোমায় চলে যাওয়া রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের সঙ্গে একটি রেডিও অ্যাকটিভ ট্রেসার মলিকিউল ইনজেক্ট করা হয়৷ এর মাধ্যমেই রোগীর বর্তমান অবস্থা বোঝা সম্ভব৷ গ্লুকোজ মেটাবোলিজমের মাত্রা যদি ৪২ শতাংশের নিচে থাকে তাহলে বুঝতে হবে এক বছরের মধ্যে রোগীর কোমা থেকে ফেরার সম্ভাবনা নেই৷