শনির মহাদশায় নাজেহাল, পরিত্রাণ পেতে পারেন এভাবে
শুক্রের অধীনে যে সকল মানুষ জন্মায় তারা শনির অনুকূলে থাকে| অপরপক্ষে, যারা বুধের অধীনে জন্মায় তাদের পক্ষে শনি মন্দ| জ্যোতিষশাস্ত্রে শনি একটি সাপ, যার মাথাকে রাহু এবং লেজকে কেতু বলা হয়| কেতু কে অগ্রাধিকার দিলে কোন ব্যক্তির অত্যন্ত উপকার হয়|
শনি মহাদশার সব খারাপ প্রভাব কাটিয়ে ওঠার জন্য কয়েকটি কার্যকর প্রতিকার আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন| এই প্রতিকার সম্পূর্ণরূপে মহাদশা কাটাতে সাহায্য নাও করতে পারে| কিন্তু এটা শনি মহাদশার যথেষ্ট প্রভাব কমিয়ে আনব| এক নজর দেখে নিন|
রুদ্রাভিষেক: সোমবার ও শনিবার শিবলিঙ্গে জল ঢালা শনি মহাদশার জন্য একটি কার্যকর প্রতিকার বলা হয়|
হনুমানের উপাসনা: মঙ্গলবার ও শনিবার হনুমানের উপাসনা মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে| এছাড়াও হনুমান চালিসা প্রতিদিন পাঠ করলে শনির দশা শান্ত করতে সাহায্য করে|
কালো তিল : শিবের কাছে প্রার্থনা করলে শনি দেবতা সন্তুষ্ট হন| প্রতিদিন বা বিশেষভাবে শনিবারে কাঁচা দুধের সাথে কালো তিল শিবলিঙ্গের ওপর ঢাললে শনির বিরূপ প্রক্রিয়া শান্ত করতে সাহায্য করে|
মাষকলাইয়ের ডাল দান : দরিদ্র মানুষকে কালো মাষকলাইয়ের ডাল দান করুন এবং প্রবাহিত নদীতে কিছু ভাসিয়ে দিন|
সরিষা তেল : একটি বাটিতে সরিষার তেলে আপনার ছায়া দেখুন এবং শনিবারে তেলটি দান করে শনি দেবতার অনুগ্রহ পান|
খিচুড়ি : শনি দেবতার অনুগ্রহ পেতে শনিবারে, চাল এবং কালো মাষকলাই ডালের খিচুড়ি খান এবং ওই দিন আমিষ খাবার এড়িয়ে চলুন|
উপবাস : যেসব লোকেরা সাধে সতী, শনি ধাইয়া, মহাদশা বা অন্তর্দশার প্রভাবে পড়েন তাদের শনিবারে উপবাস করা প্রয়োজন| শনিবার উপবাস পালনে মানুষের বাত, পৃষ্ঠবেদনা, পেশির সমস্যা দূর হয়| এছাড়াও এই উপবাস একজন ব্যক্তিকে আশাবাদী করে তোলে এবং মানসিক চাপ থেকে রেহাই দেয়|
তেল : প্রতি শনিবার, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে শরীর ও নখের উপর তেল প্রয়োগ করুন| মাদক বা কোনো ধরনের আসক্তির ব্যবহার এড়িয়ে চলুন|
কালো রং পরুন :কালো শনি দেবের পছন্দের রং| সুতরাং, শনিবার কালো পরুন যদি আপনি শনি গ্রহর দ্বারা বিচলিত থাকেন এবং তাঁর অনুগ্রহ চান|
শনি মন্ত্র : “নীলাঞ্জন সমভাষাম রবিপুথোরাম যমরাজাম ছায়া মার্থন্দ সম্ভূতম থম নমামি সানাইশ্যারাম”| যত বার সম্ভব শনিবারে এই মন্ত্র উচ্চারণ করুন| কমপক্ষে একশো আট বার পাঠ করার চেষ্টা করুন|