বাদ দিন টাই পরা, আশ্চর্য হবেন ক্ষতির বহর জেনে !
অফিস হোক বা কোনো বিশেষ নিমন্ত্রণ, স্যুট-টাইয়ের সঙ্গে ভারিক্কি একটা ভাব আনতে টাইয়ের জুড়ি নেই। কিন্তু জানেন কি এই টাই আপনার জন্য কতটা ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে ? নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে বাধা দেয় টাই, ফলে টাই পরলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা এবং বমি ভাবে আক্রান্ত হতে পারেন আপনি। আশ্চর্য হলেন তো !
আগে বলি টাইয়ের ইতিহাস। টাইয়ের ইতিহাস অনেক পুরানো। চীনের কিন ডাইনাস্টির সময় থেকে তা প্রচলিত। তখন রাজকীয় বাহিনী নেকটাই পরত। ২১ শতকে এসে প্রফেশনালিজম বোঝাতে স্যুটের সঙ্গে টাইয়ের জুড়ি নেই।
শুধু তাই নয়, টাই পরাটা রুচি, স্ট্যাটাস এবং ব্যক্তিত্বেরও পরিচয় দেয়। ১৯৭৫ সালে প্রকাশিত ‘ড্রেস ফর সাকসেস’ বইতে বলা হয়, ‘আমাকে একজন লোকের টাই দেখাও, আমি বলে দেব সে কে বা সে কী হতে চায়।’
নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের আই অ্যান্ড ইয়ার ইনফার্মারি বিভাগের গবেষক রবার্ট রিচ স্বাস্থ্যের ওপর টাইয়ের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি টাই পরার সাথে মস্তিষ্কে চাপ পড়ার সম্পর্ক খুঁজে পান। তার গবেষণাকে ভিত্তি করে জার্মানির ইউনিভার্সিটি হসপিটাল শেলসউইগ-হোলস্টেইনের রবিন লুডেক এবং তার সহকর্মীরা আরও অগ্রসর হয়। তারা টাই পরার আগে ও পরে ১৫ জন সুস্থ পুরুষের মস্তিষ্ক স্ক্যান করেন। এরপর আরও ১৫ জনের মস্তিষ্ক স্ক্যান করেন, যারা তাই পড়েন না।
ফলাফলে দেখা যায়, টাই পরার পর মস্তিষ্কে রক্তের প্রবাহ কমে ৭.৫ শতাংশ। বেশিরভাগ মানুষই ভাববেন, ৭.৫ শতাংশ আর এমন কি। কিন্তু এটা তাদের জন্য ক্ষতিকর যাদের রক্ত চলাচলে ইতোমধ্যেই সমস্যা আছে। এ ছাড়া যারা ধূমপান করেন, যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে এবং যারা বৃদ্ধ তাদের জন্যও এটা ক্ষতি করতে পারে।
অন্যান্য গবেষণায় দেখা গেছে, টাইয়ের মাঝে প্রচুর জীবাণু থাকে এবং এর আসলে কোনো উপকারিতা নেই। সুতরাং রিচার্ড ব্র্যানসন, বারাক ওবামা এবং স্টিভ জবসের মত টাই পরা বাদ দেওয়াটাই অনেকের জন্য ভালো হবে।