করোনার মারে বিষফোঁড়া ব্যাপক রক্ত সংকট, হাহাকার চিনে হাসপাতালগুলিতে
কলকাতা টাইমস :
একে করোনা আতঙ্ক তার ওপর আবার রক্ত সংকট। চিনের অধিকাংশ ব্লাড ব্যাংক কার্যত রক্তশূন্য় বলে দাবি করা হয়েছে একাধিক রিপোর্টে। জারি হয়েছে রেড অ্যালার্ট বা লাল সর্তকতা।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে চিনে। হাসপাতালে ক্রমবর্ধমান রোগীর সংখ্যা। এর মাঝেই হাসপাতালে হাসপাতালে রক্তের ভাণ্ডারে টান পড়েছে বলে খবর। চিনের জাতীয় রেডিওকে উদ্ধৃত করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, শ্যানডং প্রদেশের ব্লাড ব্যাংকে রক্তের আকাল। যার জেরে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শ্যানডং প্রদেশ চিনের দ্বিতীয় জনবহুল এলাকা। সেখানকার ব্লাড ব্যাংকের রক্তের জন্য় এই হাহাকার যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আবার সংকট কাটাতে এর মধ্যে সুঝোউয়ের স্বাস্থ্য় কমিশনের তরফে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। লাল সতর্কতার অর্থ মজুত থাকা রক্ত চলবে মাত্র তিনদিন। একমাত্র গুরুতর অসুস্থ রোগীদের দেওয়া হবে এই রক্ত। সবমিলিয়ে রক্ত সংকটে ধুঁকছে চিন।
কিন্তু কেমন এমন অবস্থা? সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতির জন্য় রক্তদান শিবির থমকে গিয়েছে। লোকজন রাস্তায় বের হচ্ছে না। কলেজে পড়ুয়াদের উপস্থিতি কম। ফলে রক্ত সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে সমালোচকদের মতে, করোনার ধাক্কায় চিনের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। তারই পরিণতি এই রক্ত সংকট।
ফের চিনে চোখ রাঙাতে শুরু করেছে মারণ করোনা ভাইরাস। চলতি সপ্তাহেই সে দেশে একদিনে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ। একদিনে সংক্রমিতের নিরিখে এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বে এটাই রেকর্ড। প্রায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন ৫০০০ মানুষ। ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট BF.7-এই বিপর্যস্ত চিন। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সংক্রমণ রুখতে বিমানবন্দরে বিদেশি যাত্রীদের ব়্য়ানডম টেস্ট করা হবে। পাশাপাশি করোনা নিয়ে সতর্ক হওয়ার জন্য বৈঠকে বসতে চলেছে প্রেসিডেন্ট জিনপিং।