উদ্ধারকারী ডুবুরিকে অপমান মিনি সাবমেরিন মালিকের!
কলকাতা টাইমসঃ
থাইল্যান্ডের গুহায় ১২ ফুটবলার ও তাদের কোচকে সফলভাবে উদ্ধার অভিযানে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন দুই ব্রিটিশ ডুবুরি। ২৩ জুন কিশোররা নিখোঁজ হওয়ার পর ২ জুলাই প্রথম তাদের সন্ধানও দিয়েছিলেন তারা। তাদের একজন হলেন ভার্ন আনসওর্থ। উদ্ধার অভিযান শেষে সম্প্রতি এই পাহাড় বিশেষজ্ঞ ও ডুবুরি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, মার্কিন ইলেক্ট্রনিক কোম্পানি টেসলার প্রধান অ্যালন মাস্কের তৈরি করা ও থাইল্যান্ডে পাঠানো ‘মিনি সাবমেরিন’টি উদ্ধার অভিযানের জন্য মোটেও উপযোগী ছিল না।
আনসওর্থ বলেন, ‘সাবমেরিনটি ওখানে কাজে লাগানোর কোনো সুযোগই নেই। তার আসলে, ওই গুহার ভেতরের অবস্থা সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই। ওটা ছিল সাড়ে ৫ ফুট লম্বা এবং শক্ত ধাতব জিনিস। ফলে এটি গুহার কোনো কোণায় নিয়ে গিয়ে আর বাঁকানো যেত না। এর মানে হচ্ছে, গুহামুখের ৫০ মিটারের বেশি এটিকে নিয়ে যাওয়ার উপায় ছিল না। এটি শুধুই একটা প্রচারের কৌশল ছিলো।’ ডুবুরির এই কথায় ক্ষেপে যান অ্যালন মাস্ক। তিনি টুইট করে আনসওর্থের নাম উল্লেখ না করে তাকে ‘শিশুকামী’ বলে অভিহিত করেন। এর আগেও যখন গুহা অভিযানের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক থাইল্যান্ডে শহরের মেয়র বলেছিলেন, মিনি সাবমেরিনটি ওখানে ব্যবহারের উপযোগী নয়। তখনও অ্যালন মাস্ক মেয়রকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘তিনি এটা বুঝবেন না, কারণ তিনি গুহা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নন।’
এদিকে ‘শিশুকামী’ বলে অভিহিত করা টুইটটি ডিলিট করেছেন মাস্ক। তবে এরপরও তার বিরুদ্ধে আইনি পদেক্ষপ নেওয়ার কথা ভাবছেন আনসওর্থ। সোমবার অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম সেভেন নিউজ’কে তিনি বলেছেন, ‘এটা শেষ হয়ে যায়নি। সে আমাকে শিশুকামী বলেছে বলেই মনে হচ্ছে। ও কী ধরনের লোক তা আশা করি সবাই এখন বুঝতে পারছে।’