গবেষণা বলছে, রোজ একবার কোলাকুলি, ব্যস্ তাতেই রোগমুক্তি!
রোজ একবার কোলাকুলি, ব্যস্ তাতেই রোগমুক্তি! সারাদিন কাজের পর প্রচণ্ড স্ট্রেস। কোনও কারণে হতাশ হয়ে রয়েছেন। মন খারাপ। এমন সময় খুব কাছের কেউ এসে আন্তরিকভাবে জড়িয়ে ধরলে কেমন হয়! মনে হয় না যেন শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনের ক্লান্তিটাও ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেল! এবার কাউকে জড়িয়ে ধারার মাহাত্ম্য তুলে ধরল এক গবেষণা।
মানুুষ সামাজিক জীব। সমাজের ভালবাসা, সম্মান, শ্রদ্ধা থেকে কোনও মানুষকে বঞ্চিত করা হলে তাঁর মধ্যে বিভিন্ন মানসিক রোগ দেখা দেয়। এমনই দাবি করছে কারনেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই গবেষণা। প্রিয়জনদের থেকে পাওয়া মাত্র একটা কোলাকুলি যে কোনও মানুষকে মানসিক দিক থেকে অনেকটা চাঙ্গা করে দিতে পারে বলে দাবি গবেষকদের। সেই কোলাকুলি নাকি আবার সারিয়ে দিতে পারে জটিল রোগও।
অনেক সময় প্রবল স্ট্রেস ও হতাশা থেকে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক্ষেত্রে প্রতিদিন অন্তত একবার করে আন্তরিক কোলাকুলি রোগ সারিয়ে দিতে সাহায্য করতে পারে বলে দাবি করছে গবেষণা।
৪০০ জন সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের উপর গবেষণা চালানো হয়েছিল। প্রায় ১৪ দিন ধরে তাঁদের কেউ আন্তরিকভাবে জড়িয়ে ধরেছেন অথবা তাঁরা কোনও প্রিয়জনকে জড়িয়েছেন। এর পর শরীর নিরোগ রাখতে কোলাকুলির প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন গবেষকরা।
কারনেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেল্ডন কোহেন-এর তত্ত্বাবধানে এই গবেষণা হয়েছে। কোহেনের দাবি, ”আমাদের মধ্যে অনেকেই কম-বেশি ভাইরাসে আক্রান্ত হই। অধিকাংশ সময়ই ভাইরাসের আক্রমণে সর্দি, জ্বর, কাশির সমস্যায় ভুগি। খুব আন্তরিক একটা কোলাকুলি কিন্তু ভাইরাস আক্রমণ ঠেকিয়ে দিতে পারে। এছাড়াও স্ট্রেস, ডিপ্রেসন কাটাতেও কোলাকুলির জুড়ি মেলা ভার।”’
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজ এবং ন্যাশনাল ব্লাড, হার্ট, লাঙ্গস ইনস্টিটিউট এই গবেষণাকে স্বীকৃতি জানিয়েছে। গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থও প্রদান করেছে তারা।
এতদিন বলা হত, রোজ একটা করে আপেল, ব্যস্ তা হলেই ডাক্তার দূরে থাকবেন। এবার কিন্তু কারনেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালেয়র গবেষণা বলছে, রোজ অন্তত একবার করে প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরুন। তা হলেই রোগ-ভোগের হাত থেকে মুক্তি।