November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

শাড়ির গেরোয় রেস্তোরাঁ থেকে ঘাড়ধাক্কা সাংবাদিককে 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

শাড়ি পরে এসেছিলেন। এই কারণে রেস্তোরাঁয় ঢুকতে দেওয়া হল না এক নারী সাংবাদিককে। একই সঙ্গে বলা হল, ‘স্মার্ট’ ও ‘ক‌্যাজুয়াল’ পোশাক পরে আসার জন‌্য। ঘটনাস্থল ভারতের রাজধানী দিল্লি। সোশ‌্যাল মিডিয়ায় নিজেই অভিযোগ জানিয়েছেন ওই নারী সাংবাদিক। যদিও রেস্তোরাঁর তরফে জানানো হয়েছে, শাড়ি নিয়ে মন্তব্য রেস্তোরাঁ কর্মীর ব্যক্তিগত মতামত। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

দিল্লির আনসল প্লাজার এক পানশালাসহ রেস্তোরাঁয় অনিতা চৌধুরী নামের ওই সাংবাদিক এই অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। নিজেই ভিডিও করে ঘটনাটি সোশ‌্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে দেন। রেস্তোরাঁর বক্তব‌্য শুনে অনিতা সোশ‌্যাল মিডিয়ায় লেখেন, এত অপমানিত তিনি কোনওদিন বোধ করেননি।

শুরুতে অবশ‌্য রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। অনিতা লিখেছেন, “আমি শাড়ি পরেছিলাম বলে আমাকে রেস্তোরাঁয় বসতে দেওয়া হয়নি। শাড়ি আমার দেশের জাতীয় পোশাক। কিন্তু সেই পোশাক পরার জন্য যেভাবে আমাকে অপমান করা হয়েছে, তা হৃদয়বিদারক। এর আগে কখনও আমি এতটা অপমানিত বোধ করিনি।”

তিনি যে শাড়ি পরতে ভালবাসেন, সে কথাও ওই ভিডিওর দেওয়া বিবরণে জানিয়েছেন অনিতা। তিনি লিখেছেন, “আমি শাড়ি পরতে ভালবাসা একজন মানুষ। ভারতীয় পোশাক আমার পছন্দের। ভারতীয় সংস্কৃতি আমি ভালবাসি। আমি মনে করি, শাড়ি হল সবচেয়ে মার্জিত, কেতাদুরস্ত এবং সুন্দর একটি পোশাক।”

সোশ‌্যাল মিডিয়ায় ওই পোস্ট করার সময় তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল এবং দিল্লি পুলিশের নাম ‘ট‌্যাগ’ করে অনিতা জানতে চেয়েছেন, স্মার্ট পোশাকের সংজ্ঞা কী? তার আশ্বাস, শাড়ি যদি স্মার্ট না হয়, তা হলে আমিও শাড়ি পরা বন্ধ করে দেব।

তবে ওই রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, পোশাক নিয়ে আপত্তি নেই। সনাতনী পোশাক পরে রেস্তোরাঁয় এলে বাধা দেওয়ার কোনও নিয়ম নেই। অনেকে আবার অভিযোগ করেছেন, সাংবাদিক রেস্তোরাঁর কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন।

Related Posts

Leave a Reply