সেরা, তাই প্রাণ জুড়িয়ে আসুন নিরিবিলি ঠাণ্ডায়
কলকাতা টাইমস :
পর্যটন মানচিত্রে লাভা-লোলেগাঁও এখন সুপরিচিত। লাভা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ৮২৫০ ফুট পাহাড়ি উচ্চতায় অবস্থিত রিশপ। নেওড়া ভ্যালির কোলে এই পাহাড়ি জনপদ কালিম্পং অঞ্চলের সেরা পর্যটন কেন্দ্র এখন অনেকের কাছেই প্রিয়।
রিশপ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ অকল্পনীয়। ‘রিশপ’-এর অর্থ পাহাড়চূড়া আর গাছ। দার্জিলিং জেলার পাহাড়ের মাথায় ছোট্ট এই গ্রামে বেড়াতে গেলে মনে হবে নামটা সত্যিই সার্থক। কারণ, এখান থেকে পাখির চোখে দেখে নেওয়া যায় ভারত ও নেপালের গোটা দশেক পর্বতচূড়া!
সঙ্গে রয়েছে পাইন বন। টিফিনদাড়া ভিউ পয়েন্ট থেকে পাহাড়ের প্যানোরমা দেখতে লাগে দারুণ। রিশপ থেকে দেখা যায় নাথুলা আর জেলেপলা পাসের কিছুটা অংশ। যা এক কথায় অপূর্ব। পাহাড়ের গায়ে সব সময় মেঘ ভেসে বেড়ায়। ‘এখানে মেঘ গাভীর মতো চরে’। তবে রিশপে যেকোনো সময়েই আকাশের মুখ ভার হয়ে যেতে পারে। সঙ্গে অবশ্যই ছাতা রাখুন। যখন তখন ঝমঝমিয়ে নামবে বৃষ্টি। এই পাহাড়ি অঞ্চলে প্রচুর জোঁক ঘুরে বেড়ায়। তাই ঘাসের ওপর দিয়ে হেঁটে চলার সময় সতর্ক থাকুন।
বিকেলের রিশপ ভ্রমণপ্রিয়দের কাছে বেশ উপভোগ্য। মুখ তুলে দেখে নিন কঞ্চনজঙ্ঘা। সূর্যাস্তের পর আশপাশের পাহাড়ে জোনাকির মতো আলো জ্বলে ওঠার দৃশ্য মনমুগ্ধকর! রিশপে ৫-৬ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তায় কোথাও পিচ নেই, পুরোটাই অসমান এবড়ো খেবড়ো পাথরের। রাস্তা কখনো হঠাৎ করে উঁচু হয়ে যায়, কখনো বা নিচু। তাই এই রাস্তায় হাঁটর জন্য স্পোর্টস সু পড়ুন।
ছোট্ট একটা মনাস্ট্রি রয়েছে রিশপে। পায়ে হেঁটেই দেখে নিতে পারেন। রিশপ থেকে ট্রেক করেও যাওয়া যায় লাভায়। জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে ঘণ্টাখানেকের ডাউনহিল ট্রেক। রিশপ খুবই ছোট জনপদ, লাভার উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। বছর কয়েক হল এখানে হাতে গোনা হোটেল গড়ে উঠেছে। রিশপে বিদ্যুৎ এবং পানি পর্যাপ্ত নয়। পরিমিত পানিতে প্রয়োজনীয় কাজ সারতে হয়।
কীভাবে যাবেন:
শিয়ালদহ থেকে রাত্রি ৮টা ৩০ মিনিটে ১৩১৪৯ কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে চেপে পরদিন নিউ মাল জংশনে নামুন। সেখান থেকে ভাড়া গাড়িতে সরাসরি পৌঁছে যান রিশপ।