চীনের স্কুলে ছাত্র পড়াচ্ছে রোবট ‘কিকো’!
কলকাতা টাইমসঃ
প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে রোবটের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারও উন্নতি হয়েছে। শপিং মলের কাজকর্ম সামলানো, চীনে বৃদ্ধ ব্যক্তিদের সঙ্গ দেওয়ার কাজে ইতোমধ্যেই রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এবার চীনের কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোয় শিক্ষকের সহকারী হিসেবে কাজ করছে রোবট। ওই রোবট শিক্ষক শিশুদের নানা ধাঁধার উত্তর মেলানোর পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় শেখাচ্ছে। মাত্র ২ ফুট উচ্চতার ‘কিকো’ নামের এই রোবটের মুখের জায়গায় একটি স্ক্রিন বসানো রয়েছে। গোলাকার ও ছোট আকৃতির রোবটটির স্ক্রিনে নানা দৃশ্য দেখিয়ে শিশুদের পড়ানো হয়।
এছাড়া চাকার সাহায্যে শ্রেণিকক্ষের বিভিন্ন প্রান্তে চলাচল করতে পারে রোবটটি। ভিডিও রেকর্ড ও নেভিগেশনের জন্য এতে যুক্ত আছে ক্যামেরা। চীনে বৃদ্ধ ব্যক্তিদের সঙ্গ দেওয়া, দোকানের কাজকর্ম সামলানো ও আইনি পরামর্শ দেওয়ার কাজে ইতোমধ্যেই রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই শিক্ষক হিসেবে রোবট ব্যবহারের কোনো অযৌক্তিকতা নেই, এমনটাই দাবি কিকোর নির্মাতাদের।
রাজধানী বেইজিংয়ের অদূরে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে দেখা যায়, এই রোবটটির সঙ্গে খেলার ছলে নানা বিষয় শিখছে সেখানকার শিশুরা। একজন রাজকুমারকে মরুভূমির মধ্যে সঠিক পথ দেখিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর কাজ করতে দেওয়া হয় ওই শিশুদের, আর গল্পের সেই রাজকুমারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় কিকো। প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য গন্তব্যের দিকে ধাপে ধাপে এগিয়ে চলে রোবটটি।
শিয়ামেন টেকনোলোজির একজন ট্রেনার ও প্রাক্তন শিক্ষিকা ক্যান্ডি শিয়ং সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, কিকোর গোলাকার দেহ খুবই পছন্দ করে শিশুরা। তাই কিকোর কাছ থেকে শেখার ব্যাপারে খুবই আগ্রহী হতে দেখা যায় তাদের। জানা যায়, চীনের প্রায় ৬০০ কিন্ডারগার্টেন স্কুলে সরবরাহ করা হয়েছে এই রোবট। নির্মাতাদের আশা চীনে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেও এর ভালো চাহিদা তৈরি হবে।