পচা ডিম শুনে নাক সিঁটকোলেও এটিই আসল রোগের শত্রু !
মানুষের ধারণা পচা ডিম গন্ধ আর শরীর খারাপ ছাড়া আর কিছুই হতে পারেনা। তবে সম্প্রতি এক গবেষনায় দেখা গেছে পচা ডিমের বেশ কিছু ভাল গুণ রয়েছে। এই পঁচা ডিম সারিয়ে তুলতে পারে বেশ কিছু রোগ।
কেমন রোগ সারাবে এই পচা ডিম? গবেষকদের মতে এই পচা ডিমের গন্ধের উৎস হাইড্রোজেন সালফাইডের সঠিক মাত্রায় প্রয়োগে সেরে যেতে পারে ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক, স্মৃতিভ্রংশের মত অসুখ।
এক্সেটর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, মানব কোষে স্বল্প ও সঠিক মাত্রায় হাইড্রোজেন সালফাইডের প্রয়োগের মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যৎ চিকিৎসার চাবিকাঠি।
তারা দাবি করেছেন, কোষের ‘শক্তিঘর’ মাইটোকনড্রিয়াকে রক্ষা করে হাইড্রোজেন সালফাইড। মাইটোকনড্রিয়া শরীরের রক্তবাহিকা গুলিতে শক্তির যোগান দেয়। মাইটোকোনড্রিয়া অকেজো হয়ে পড়লে কোষের মৃত্যু আসন্ন হয়ে পড়ে এবং অকেজো মাইট্রোকড্রিয়া অসুস্থ কোষের ইঙ্গিতবাহী।
গবেষকরা আরো জানিয়েছেন ‘কোষে রোগের সংক্রমণ ঘটলে অথবা কোষে কোনো রকম চাপ তৈরি হলে কোষ অতি অল্প পরিমাণে হাইড্রোজেন সালফাইড ক্ষরণ করে। এই গ্যাস মাইটোকনড্রিয়াকে রক্ষা করে তার সঙ্গে কোষকেও বাঁচিয়ে রাখে।’
এক্সেটর মেডিক্যাল স্কুলের গবেষক হোয়াইট ম্যান জানিয়েছেন, ‘যদি এটা না হয় তাহলে কোষ মারা যায় এবং প্রদাহকেও নিয়ন্ত্রণেও রাখতে পারে না। এই প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার দিকে নজর দিয়েই আমরা এপি ৩৯ নামের একটি যৌগ তৈরি করেছি যেটি ধীরে ধীরে খুব অল্প পরিমাণে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস ত্যাগ করে যা মাইটোকোনড্রিয়াকে রক্ষা করে। আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি এপি ৩৯ অসুস্থ কোষকে হাইড্রোজেন সাইফাইডের যোগান দেয়। ফলে মাইটোকনড্রিয়া রক্ষিত হয় ও কোষ সুস্থ থাকে।’