‘এরপরেই পরমাণু বোমা ফাটাবো’, ইউক্রেনকে জানালো রাশিয়া
কলকাতা টাইমস :
আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইউক্রেনকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার। এর ঠিক একদিন আগে মস্কোর ‘নিউক্লিয়ার ডক্ট্রিন’ আনুষ্ঠানিক ভাবে বদল করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আর তারপর একটি আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (ইন্টার-কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল, সংক্ষেপে আইসিবিএম) দাগা হলো ইউক্রেনে। পরমাণু অস্ত্রবিহীন ক্ষেপণাস্ত্রটি ছুড়ে শুধু ইউক্রেন নয় পাশাপাশি ইউক্রেনের পশ্চিমের সহযোগী মিত্রদের সতর্কবার্তা দিতে ভোলেননি মস্কো প্রধান। তাঁর বার্তা, সীমালঙ্ঘন করলে এরপর আইসিবিএম-এর বদলে পরমাণু অস্ত্র ছোড়া হবে।
পরিবর্তন ঘটেছে আমেরিকার রাজনৈতিক জগতে। কমলা হ্যারিশকে পরাজিত করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফের নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এই পালাবদল প্রতক্ষ্য বা পরোক্ষ ভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে প্রভাব ফেলবে বলেই মত পোষণ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইউক্রেন প্রধান জেলেনস্কি প্রীতি থাকলেও নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুতিন ঘনিষ্ঠ। ইতিমধ্যেই হাজারদিন পেরিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। যত দিন যাচ্ছে আরও জটিল হচ্ছে এই যুদ্ধ। যুদ্ধ হাজার দিন পেরিয়ে আরও জটিল হয়ে উঠেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই জানিয়েছেন দায়িত্ব নিয়েই তিনি যুদ্ধে ইতি টানবেন।
অন্যদিকে, আর মন্ত্র দু’মাস প্রেসিডেন্টের পদে থাকা জো বাইডেন রাশিয়ার সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেই ইউক্রেনকে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, ল্যান্ডমাইন দিয়ে চলেছেন বাইডেন। সম্প্রতি আমেরিকা রাশিয়ার ভিতরে দূরপাল্লার ক্রুজ় ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ফেলার অনুমতি দিয়েছে ইউক্রেনকে। একই কাজ করেছে ব্রিটেনও। ব্রিটেন-আমেরিকার ছাড়পত্র মেলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়ার মাটিতে আমেরিকার পাঠানো এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ও ব্রিটেনের ‘স্টর্ম শ্যাডো’ ক্ষেপণাস্ত্র ফেলেছে ইউক্রেন। রাশিয়াও অবশ্য তার জবাব দিতে ছাড়েনি।
ইউক্রেনের বায়ুসেনা আজ একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, সকালে ইউক্রেনের নিপ্রো শহরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ফেলেছে রাশিয়া। তাদের অভিযোগ, সরকারি পরিকাঠামোগুলি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়াই একমাত্র লক্ষ্য রাশিয়ার। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ স্পষ্টই বলেন, ‘‘এই বিষয়ে কিছু বলার নেই।’’ তবে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, যাতে পরমাণু যুদ্ধের দিকে এগোতে না হয়, সেই পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য তারা ‘সর্বোচ্চ চেষ্টা’ করছে। তারা জানিয়েছে, নতুন যে নিউক্লিয়ার ডক্ট্রিন বা পরমাণু চুক্তিতে সই করেছেন পুতিন, তাতে এ বার পরমাণু শক্তিধর নয়, এমন দেশেও পরমাণু অস্ত্র ফেলতে পারবে রাশিয়া।