November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

দ্রৌপদী মুর্মুকে পুতিনের শুভেচ্ছায় মস্কোর-দিল্লির নতুন সমীকরণ  দেখছে ভারত !

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :

নির্বাচনে জয় পেয়েছেন। কিন্তু এখনও রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেননি দ্রৌপদী মুর্মু । তার আগেই শুভেচ্ছা-অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছেন দেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি। ভারতের প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতির কাছে শুভেচ্ছা এসেছে সুদূর মস্কো থেকে। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আর মস্কোর এই সক্রিয়তাই বুঝিয়ে দিচ্ছে, কূটনৈতিকভাবে রাশিয়ার কাছে ক্রমশ গুরুত্বস পূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে নয়াদিল্লি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের তরফে পাঠানোর বার্তায় জানানো হয়েছে, “বহুদিন ধরেই ভারত-রাশিয়ার বিশেষ কৌশলগত সম্পর্কের ক্ষেত্রগুলিতে আমরা জোর দিচ্ছি। আশা করি, ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার রাজনৈতিক আলোচনা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ সহযোগিতার ক্ষেত্রে আপনার ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হবে। ফলে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাড়বে।” এই শুভেচ্ছা বার্তা আর পাঁচটা অভিনন্দনের মতো দেখছে না আন্তর্জাতিক মহল। তাঁদের কথায়, ভারত-রাশিয়ার কূটনৈতিক ‘বন্ধুত্ব’ প্রতিফলিত হয়েছে পুতিনের এই বার্তায়।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে কার্যত কোণঠাসা পুতিনের মস্কো। এমন পরিস্থিতিতে হাতেগোনা কয়েকটা দেশ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে নয়াদিল্লি। যুদ্ধ থামিয়ে কূটনৈতিকভাবে পরিস্থিতি সামলানোর বার্তা দিলেও সরাসরি রাশিয়ার সমালোচনা করেনি মোদির ভারত। এমনকী, ভোটাভুটিতেও মস্কোর বিরুদ্ধে যায়নি নয়াদিল্লি। আমেরিকার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্রের লেনদেন জারি রেখেছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই মস্কোর কাছে গুরুত্ব বেড়েছে নয়াদিল্লির। এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি পদে শপথগ্রহণের আগেই দ্রৌপদী মুর্মুকে মস্কোর শুভেচ্ছা জানানো যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক কূটনীতিবিদরা।

প্রসঙ্গত, ১৯৫৮ সালের ২০ জুন জন্ম দ্রৌপদী মুর্মুর। বছর চৌষট্টির দ্রৌপদীর রাজনৈতিক জীবন আড়াই দশকের। বিভিন্ন সময়ে নানা দায়িত্ব সামলেছেন। ১৯৯৭ সালে পুরভোটে জিতে প্রথমবার কাউন্সিলর হন। সেই সঙ্গে রাইরংপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পান। ওই রাইরংপুর থেকেই ২০০০ ও ২০০৪ সালে বিজেপি বিধায়ক হন। দলে একাধিক সাংগঠনিক দায়িত্বও পালন করেছেন। ওড়িশার (Odissa) আদিবাসী মুখ হিসেবে তাঁকে তুলে ধরে গেরুয়া শিবির। সেই সূত্রে ২০০২ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত বিজেপির আদিবাসী মোর্চার জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ছিলেন। ২০০৬ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ওড়িশা বিজেপির আদিবাসী মোর্চার সভানেত্রী।

Related Posts

Leave a Reply