এবার ঈশ্বরের সেবায় মহিলা পুরোহিত
কলকাতা টাইমস :
সনাতন বিতর্কে নয়া মাত্রা। দিন ১৫ ধরেই চলছে সনাতন বিতর্ক। সনাতন ধর্ম নিয়ে ডিএমকে’র যুব নেতা উদয়নিধির মন্তব্য ঘিরে উত্তাল তামিলনাড়ু থেকে গোটা দেশের রাজনীতি। দিন পনেরো আগে চেন্নাইয়ের এক অনুষ্ঠানে তিনি মন্তব্য করেন, সনাতন ধর্ম সামাজিক ন্যায়ের পরিপন্থী। এই ধর্মকে ডেঙ্গু ম্যালেরিয়ার মতো নির্মূল করা দরকার।
উদয়নিধি শুধু দলের যুব নেতা নন, তিনি তামিলনাড়ু সরকারে ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে সুপ্রিমো এমকে স্ট্যালিনের পুত্র। স্বভাবতই বিজেপি-সহ গোটা গেরুয়া শিবির উদয়নিধির কথাকে হাতিয়ার করে ডিএমকের পাশাপাশি ইন্ডিয়া জোটকে কটাক্ষ করে ছাড়েনি । বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সনাতন বিতর্ক হাতিয়ার করে বুঝিয়ে দিয়েছেন আসন্ন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে এই ইস্যুকেই ‘রাম মন্দির’, ‘বজরংবলী’র মতো ব্যবহার করতে চলেছে পদ্ম শিবির। তিনি এও বলেছেন ইন্ডিয়া দেশকে ধ্বংস করে ফেলবে।
বিজেপির ‘সনাতন অস্ত্র’ নিয়ে কংগ্রেস-সহ ইন্ডিয়া জোটের শরিকেরা যখন ত্রস্ত তখন ডিএমকে তা যেন আরো জোরালো করার রাস্তায় হাটছে । সনাতন ধর্ম নিয়ে আপত্তি তুলে উদয়নিধির বক্তব্য ছিল এই ধর্ম নারীর অধিকার স্বীকার করে না। সহমরণে বিশ্বাস করে এবং বিধবা বিবাহ মানে না। নারীর প্রতি বঞ্চনার একাধিক দৃষ্টান্তের একটি হল মন্দিরে তাদের প্রবেশাধিকারে বাধা। তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার সেই প্রথা ভাঙতে তিনজন মহিলার নাম প্রকাশ করেছে যাঁদের অচিরেই রাজ্যের হিন্দু মন্দিরে পুরোহিতের ভূমিকায় দেখা যাবে ।
তামিলনাড়ুতে পুরোহিত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তিন মহিলা পুরোহিতের একজন্য বছর পঁচিশের রম্যা এমএসসি পাশ। সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমার ইচ্ছা ছিল শিক্ষকতা অথবা ব্যাঙ্কে চাকরি করব। কিন্তু পুরোহিত প্রশিক্ষণের বিজ্ঞাপনটি দেখে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলি। এটাতে অধিকার অর্জনের প্রাপ্তি আছে।
তামিলনাড়ুর মন্দিরে মহিলারা অনেকেই পূজাপাঠের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু কেউই পুরোহিতের মর্যাদা পান না। রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে, সরকারি প্রশিক্ষণ শিবিরের সার্টিফিকেটধারী মহিলাদের পুরোহিত পদে নিয়োগ করা হবে, জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর হিন্দু ধর্ম ও সমাজসেবা প্রতিষ্ঠান বিষয়ক দফতরের মন্ত্রী পিকে সেকারবাবু।