সাপলুডু কিন্তু শুধু খেলা নয়, এর রহস্য জানেন কি?
কলকাতা টাইমস :
কে না খেলেছি সেই খেলা! ছোটবেলায় লুডুর বোর্ডের পরের পাতাটাই ছিল প্রথমটার থেকে বেশি আকর্যণীয়। সাপলুডু আজ এই ডিজিটাল যুগেও তার জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র কমেনি। কিন্তু এই খেলার মধ্যে যে এক গভীর রহস্য লুকিয়ে রয়েছে, সে কথা আমরা কি জানতাম? আজও কি জানি, এই খেলা আদ্যন্ত এক আধ্যাত্মিক খেলা?
সব থেকে বিস্ময় জাগে যখন জানা যায়, সাপলুডুর উৎস আমাদের উপমহাদেশেই। এবং এর উদ্দেশ্য ছিল খেলোয়াড়দের মোক্ষ সম্পর্কে সচেতন করা। দেখা যাক এই খেলার রহস্য—
সাপলুডুর আদি নাম ‘মোক্ষপট’। প্রাচীন ভারতে এর জন্ম। কিন্তু ১৯ শতকের শেষদিকে ইংরেজরা এই খেলাকে নিজেদের ছাঁচে ঢালাই করে।
• সাপলুডু আসলে মোক্ষের রাস্তা বাতলায়। এখানে ছক্কার দানকে ‘কর্ম’ হিসেবে ধরতে হয়।
• সাপ আসলে পাপের প্রতীক। তার মুখে পড়লে পতন অনিবার্য।
• অবশ্যম্ভাবী ভাবে মইগুলি পুণ্যকর্মকে বোঝায়। তাতে চড়লে মোক্ষের পথ সহজ হয়।
• বার বার সাপ ও মইতে ওঠা-নামা জন্মান্তর চক্রের কথা বলে। কর্মফল অনুযায়ী উত্থান অথবা পতন নির্ধারিত হয়।
• ছকের চূড়ান্ত স্তরে রয়েছে মোক্ষ। সেই ঘরের নম্বর ১০০। এটা পূর্ণতার প্রতীক, সমগ্রের প্রতীক। এখানে পৌঁছতে পারলে পুনর্জন্মচক্র থেকে মুক্তি। জাগতিক পাপ-পুণ্যের হিসেব থেকেও মুক্তি।
• আদিতে এই খেলায় সাপের মুখগুলিতে কোন কোন পাপের ফলে পতন ঘটছে, তাদের নামগুলি লেখা থাকত। লেখা থাকত মইয়ের গায়ে পুণ্যকর্মগুলির নামও।