সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন সৌদি প্রিন্স !
কলকাতা টাইমসঃ
সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডকে দুর্ঘটনা বলে চাপিয়ে দিয়ে এড়িয়ে যেতে চাচ্ছিল সৌদি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বিশ্বের কেউ ওইসব ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বীকার করেন খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে। তাই এই স্বীকারোত্তি আসে ঘটনার দুই সপ্তাহ পর। কিন্তু খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জড়িত থাকার অভিযোগ শুরু থেকেই করে আসছিল আন্তর্জাতিক কিছু সংবাদমাধ্যম। এবার ওই হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। খবর আল-জাজিরার।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, খাশোগি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া ১৫ জনের মধ্যে একজন খাশোগিকে হত্যার পর যুবরাজ সালমানের সহকারীকে ফোন করেন। ফোন করে বলেন, তোমার বসকে বল, খাশোগি হত্যাকাণ্ডের মিশন সম্পন্ন হয়েছে। নিউ ইয়র্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, ফোন করার সময় যদিও বসের নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে বস বলতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকেই বোঝানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।সালমানের সহকারীকে ফোন করা ওই ব্যক্তির নাম মাহের আব্দুলাজিজ মুত্রেব যিনিও খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি কনস্যুলেটের ভিতরে অংশ নেন। মুত্রেব যুবরাজ সালমানের নিরাপত্তা কর্মকর্তা ছিলেন যিনি প্রায় তার সঙ্গে বিভিন্ন দেশ সফর করতেন।
২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে ব্যক্তিগত কাগজপত্র আনার প্রয়োজনে ঢোকার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন সৌদির খ্যাতনামা সাংবাদিক খাশোগি। শুরু থেকে তুরস্ক দাবি করেছিল, খাশোগিকে কনস্যুলেট ভবনের ভিতর সৌদির চররা হত্যা করে লাশ টুকরো টুকরো করে ফেলে দিয়েছে কোথাও। গত বছর সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতা নেওয়ার পর রোষানলে পড়েন খাশোগি। তিনি দেশ ছেড়ে স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়াশিংটন পোস্টে যুবরাজ মোহাম্মদের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে একের পর এক কলাম লেখেন।