ভাইরাস থেকে বাঁচতে মাটিকে ‘বর্ম’ বানাচ্ছেন ধনীরা!
কলকাতা টাইমস :
করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচতে মাটিরে নিচের বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন বিশ্বের ধনকুবেরদের অনেকেই। অনেকেই আবার ব্যক্তিগত বিমান ভাড়া করে ছুটছেন নির্জন শৈল-নিবাস বা বিনোদন কেন্দ্রে।
এদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য সঙ্গী করে নিচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সদেরও। পাশাপাশি নিজের শরীরে করোনা সনাক্তের জন্য ঢুঁ মারছেন বিশ্বের খ্যাতনামা প্রাইভেট ক্নিনিকগুলোতে।
লন্ডনের হার্লি স্ট্রিটের একটি ক্লিনিকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী জানান, তাদের উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য-ভোক্তাদের সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা ব্রিটেনের বাইরে অন্য কোনো দেশে করার ব্যবস্থা করা হবে। ব্রিটেনে করোনা পরীক্ষার যে নীতিমালা বেঁধে দেওয়া হয়েছে তার আওতায় এসব ভোক্তার পরীক্ষা দেশটিতে করা সম্ভব নয়।
ব্রিটেনের অন্যতম কার্ডিওভাসকুলার সার্জন আলী জানান, ফ্লু ঠেকানোর প্রচলিত টিকা দেয়া হচ্ছে চিকিৎসাপ্রার্থীদের। এছাড়া, করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে জীবন যাত্রার পরিবর্তন নিয়ে বিশদ আলোচনা ও সুপারিশ করা হচ্ছে।
কোনো কোনো ক্লিনিক উদ্বিগ্ন ধনকুবেরদের দেহ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারের পরামর্শ এবং কথিত সেবা দিচ্ছে। ভিটামিন এবং মিনারেলের মিশ্রণ ইন্টারভেনাস বা রক্তনালী পথে ইনজেকশনও দিচ্ছে তারা। এ ধরনের চিকিৎসার জন্য ব্রিটেনে মাথাপিছু সাড়ে ৩০০ পাউন্ড স্টারলিং নেয়া হচ্ছে বলেও জানা যায়।
ভূগর্ভস্থ আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ভিবোস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী রবার্ট ভিসিনো জানান, করোনার প্রকোপ দেখা দেয়ার পর এ ধরনের কেন্দ্রের বিক্রি বেড়েছে। পাশাপাশি এ সংক্রান্ত খোঁজখবর নেয়ার বিষয়টিও আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে।
ইন্ডিয়ানায় শীতল যুদ্ধের সময় নির্মিত বাঙ্কারকে ৮০ ব্যক্তির বসবাসের উপযোগী করা হয়েছে। এছাড়া সাউথ ডাকোটাতে পরিত্যক্ত ৫৭৫ টি বাঙ্কারকে আবাসিক অবস্থায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব বাঙ্কার দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়ে অস্ত্রাগার হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছিল।
সংস্কার করে এসবের কোনোটিতে ভূগর্ভস্থ সুইমিং পুল, সিনেমা বা বিনোদন কেন্দ্রসহ নানা সুবিধা যোগ করা হয়েছে। কোনো কোনো আশ্রয় কেন্দ্রের ভূগর্ভে ১৫ তলা স্থাপনা রয়েছে।