এই সময় জল না বাছলে সমূহ বিপদ
গরম ও অসহনীয় দাবদাহে পরম প্রশান্তি এনে দেয় কোমল পানীয় বা শরবত। তীব্র দাবদাহে সাময়িক প্রশান্তি পেতে ঘরে অনায়াসেই বানিয়ে খেতে পারেন বরফ শীতল লেবুজল, লেবুর শরবত, ডাবের জল, বেলের শরবত, তরমুজের জুস, বাঙ্গির জুস, পেঁপে বা কাঁচা আমের শরবত, পাকা আমের জুস, পুদিনা-লেবুর মিন্টলেমনেড, লাচ্ছি, আখের গুড়ের শরবত ও দই চিড়ার শরবত। এগুলো গরমে আপনাকে প্রশান্তি তো দেবেই, পাশাপাশি শরীরে জলের ভারসাম্য ঠিক রেখে ডিহাইড্রেশন ও ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স থেকে আপনাকে রক্ষাও করবে। তবে পাতলা ক্রিস্টাল ক্লিয়ার জুসের চেয়ে খোসা বা ফাইবারসহ স্মুদি খেলে বেশি উপকার পাবে আপনার শরীর। তবে হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে লবণ মেশানো শরবত এড়িয়ে চলাই উত্তম।
তাই প্রতিদিন অবশ্যই ১২ থেকে ১৫ গ্লাস বা দু-তিন লিটার জল পান করতেই হবে এবং তা অবশ্যই হতে হবে নিরাপদ। কেননা অনিরাপদ জল পানের মাধ্যমে আপনার জীবন গিয়ে দাঁড়াতে পারে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অর্থাৎ ঘরে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে তৈরি হলেই তা আপনার অশান্তির কারণ হবে না।
অন্যদিকে তীব্র দাবদাহে সাময়িক প্রশান্তি পেতে পথচারীদের পছন্দ ফুটপাত ও রাস্তার পাশে বানানো শরবত, আখের রস, ঔষধি শরবত, ট্যাং, লেবুজল, স্যালাইন জল প্রভৃতি। গরম থেকে সাময়িক প্রশান্তি মিললেও এই শরবত ও পানীয় পান করে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা কিন্তু নেহাত কম নয়।
সাধারণ ওয়াসার জল, ওয়াসার জল তৈরি বরফ (মাছের জন্য তৈরি বরফ), ভেজাল ও কালার দেওয়া ট্যাং, লেবু, নানা ফল, অ্যালোভেরার নির্যাস, অর্জুন, বহেড়া, হরীতকী, নানা জিনিসের সঙ্গে স্যাকারিন মিশিয়ে একসঙ্গে বা আলাদাভাবে তৈরি হওয়া এই শরবতগুলো যেমন ছড়ায় জলবাহিত রোগ, অন্যদিকে শরীরে ছড়াচ্ছে নানা সংক্রমিত রোগ। যেমন—‘হেপাটাইটিস’ তার মধ্যে অন্যতম। লিভার ভালো রাখতে রাস্তার পাশে চিপড়ানো আখের রস খেয়ে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আপনারই লিভার ও রক্ত।
তাই সচেতন হোন এবং সাবধান হোন গরমে প্রশান্তির জন্য আপনার পানীয় নির্বাচনে। কেননা নিরাপদ ও সুপেয় জলেরই একমাত্র নাম জীবন।