November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

এই সময় জল না বাছলে সমূহ বিপদ 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
লের অপর নাম জীবন। শুধু মানুষ নয়, যেকোনো প্রাণীর জন্যই পানি এমন এক খাদ্য উপাদান, যা শরীরকে রিহাইড্রেট থেকে সচল রাখছে। খাবার না খেয়ে আপনি হয়তো দু-এক দিন বেঁচে থাকতে পারবেন, কিন্তু জল না খেয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আপনি অচল হয়ে পড়বেন। তাই অবশ্যই সুস্থ থাকতে আপনাকে সারা দিনে দু-তিন লিটার সুপেয় এবং নিরাপদ জল পান করতে হবে।
এখানে ‘সুপেয় ও নিরাপদ জলের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার বেশ কারণও রয়েছে। কেননা সব জল বা পানীয়ই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। রাস্তার পাশের নানা প্রশান্তির জল, পানীয় ও শরবত নানা সময়ে অশান্তিরও কারণ হয়ে দাঁড়ায় আপনার জীবনে। তাই জল নির্বাচনের সময় প্রথমেই তা কতটা স্বাস্থ্যসম্মত, তা নিশ্চিত হতে হবে।

গরম ও অসহনীয় দাবদাহে পরম প্রশান্তি এনে দেয় কোমল পানীয় বা শরবত। তীব্র দাবদাহে সাময়িক প্রশান্তি পেতে ঘরে অনায়াসেই বানিয়ে খেতে পারেন বরফ শীতল লেবুজল, লেবুর শরবত, ডাবের জল, বেলের শরবত, তরমুজের জুস, বাঙ্গির জুস, পেঁপে বা কাঁচা আমের শরবত, পাকা আমের জুস, পুদিনা-লেবুর মিন্টলেমনেড, লাচ্ছি, আখের গুড়ের শরবত ও দই চিড়ার শরবত। এগুলো গরমে আপনাকে প্রশান্তি তো দেবেই, পাশাপাশি শরীরে জলের ভারসাম্য ঠিক রেখে ডিহাইড্রেশন ও ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স থেকে আপনাকে রক্ষাও করবে। তবে পাতলা ক্রিস্টাল ক্লিয়ার জুসের চেয়ে খোসা বা ফাইবারসহ স্মুদি খেলে বেশি উপকার পাবে আপনার শরীর। তবে হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে লবণ মেশানো শরবত এড়িয়ে চলাই উত্তম।

তবে লো ব্লাড প্রেসার থাকলে লবণযোগে খেতে পারবেন অবশ্যই, কিন্তু এগুলো বাসায় স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে তৈরি হতে হবে। পর্যাপ্ত নিরাপদ জল ও পানীয় পান সারা দিন আপনার শরীরকে রাখবে রিহাইড্রেট। শরীরকে রাখবে ডিটক্সিফায়েড বা বিষমুক্ত। পরিপাকতন্ত্র রাখবে স্বাস্থ্যকর। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে বান্ডল মুভমেন্ট ঠিক রাখতে সহায়তা করে জল । রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, মাথা ব্যথা দূর করে, ডায়রিয়া ও পেটের অসুখ হওয়ার প্রবণতা কমায়। জল শরীরের রক্ত পরিষ্কার রাখে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। ইউরিন ইনফেকশন রোধে পানি ও লেবুর জলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর কিডনিকে সুস্থ-সবল রাখতে জলের ভূমিকার কথা বলাই বাহুল্য।

তাই প্রতিদিন অবশ্যই ১২ থেকে ১৫ গ্লাস বা দু-তিন লিটার জল পান করতেই হবে এবং তা অবশ্যই হতে হবে নিরাপদ। কেননা অনিরাপদ জল পানের মাধ্যমে আপনার জীবন গিয়ে দাঁড়াতে পারে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অর্থাৎ ঘরে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে তৈরি হলেই তা আপনার অশান্তির কারণ হবে না।

অন্যদিকে তীব্র দাবদাহে সাময়িক প্রশান্তি পেতে পথচারীদের পছন্দ ফুটপাত ও রাস্তার পাশে বানানো শরবত, আখের রস, ঔষধি শরবত, ট্যাং, লেবুজল, স্যালাইন জল প্রভৃতি। গরম থেকে সাময়িক প্রশান্তি মিললেও এই শরবত ও পানীয় পান করে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা কিন্তু নেহাত কম নয়।

সাধারণ ওয়াসার জল, ওয়াসার জল তৈরি বরফ (মাছের জন্য তৈরি বরফ), ভেজাল ও কালার দেওয়া ট্যাং, লেবু, নানা ফল, অ্যালোভেরার নির্যাস, অর্জুন, বহেড়া, হরীতকী, নানা জিনিসের সঙ্গে স্যাকারিন মিশিয়ে একসঙ্গে বা আলাদাভাবে তৈরি হওয়া এই শরবতগুলো যেমন ছড়ায় জলবাহিত রোগ, অন্যদিকে শরীরে ছড়াচ্ছে নানা সংক্রমিত রোগ। যেমন—‘হেপাটাইটিস’ তার মধ্যে অন্যতম। লিভার ভালো রাখতে রাস্তার পাশে চিপড়ানো আখের রস খেয়ে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আপনারই লিভার ও রক্ত।

তাই সচেতন হোন এবং সাবধান হোন গরমে প্রশান্তির জন্য আপনার পানীয় নির্বাচনে। কেননা নিরাপদ ও সুপেয় জলেরই একমাত্র নাম জীবন।

Related Posts

Leave a Reply