মেনে দেখুন টাকা জমানোর কিছু দুষ্টু বুদ্ধি
কলকাতা টাইমস :
আমরা অনেকেই টাকা জমিয়ে রাখি। অনেকে আবার পারি না। আর এই টাকা জমানো নিয়ে প্রায় সময় আমরা অনেক দুশ্চিন্তায় থাকি। তাহলে উপায়? যদি প্রশ্ন করা হয়, আপনি কীভাবে টাকা জমান? ব্যাঙ্কে টাকা রাখেন? তোষক বা বালিশের তলায় টাকা রেখে ইচ্ছে করে ভুলে যান? অনেকেই টাকা লুকিয়ে রাখেন গোপন স্থানে যেখানে চট করে হাত পড়ে না। প্রয়োজন পড়লে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে টাকা।
কিন্তু যার খরচের হাত তার কাছে এসব কোনও ট্রিকই চলে না। হাত সুড়সুড় করলেই তারা হাতড়ে বেড়ান আলমারির লুকোনো কোণে অথবা ভেঙে ফেলেন পিগি ব্যাঙ্ক। তাদের জন্য রইল টাকা জমানোর কিছু দুষ্টু আইডিয়া।
১। একবার-আধবার সবাই ফুডকোর্টে গিয়েছেন। কার্ড বানিয়ে খাওয়া-দাওয়াও করেছেন। এরকম চার-পাঁচটি ফুডকোর্টের কার্ডে বেশি করে টাকা ভরে রাখুন। তার পর যতটুকু খরচই হোক না কেন, ক্যাশ করবেন না। যত্ন করে রেখে দেবেন ওই সব কার্ড। প্রতিবার যখন সেই ফুডকোর্টে যাবেন, অন্তত ১০০ টাকা আরও অ্যাড করে দেবেন। এমন চার-পাঁচটি কার্ডে যদি গড়ে ৫০০ টাকা করে থাকে, তবে কত টাকা সঞ্চয় হল বলুন তো?
২। হাতে যখন টাকা থাকবে তখন ছেলেদের এবং মেয়েদের দেওয়া যায় এমন দু’টি করে উপহার কিনে রেখে দিন। অফিসে বা পাড়ায় বন্ধুবান্ধবরা যখন কোনও নিমন্ত্রণে যাওয়ার কথা বলবেন তখন তাদের বলুন যে আপনার কাছে নতুন কেনা উপহার পড়ে রয়েছে। একহাতে উপহার তাদের হাতে তুলে দেবেন আর অন্যহাতে টাকা নেবেন। অথবা বাড়ির নিমন্ত্রণের জন্যেও উপহারগুলি সঞ্চয় করে রাখতে পারেন। মাসের শেষে বিয়েবাড়ি পড়লে যাতে মাথায় হাত দিতে না হয়।
৩। চেনাশুনো, বিশ্বস্ত কেউ টাকা ধার চাইলে দিয়ে দেবেন। ভুলেও সেই টাকা ফেরত চাইবেন না তাড়াতাড়ি। তার পরে যখন আপনার টাকার দরকার পড়বে তখন টাকা ফেরত চেয়ে চেয়ে তাদের ‘জিনা হারাম’ করে দেবেন।
৪। উদ্বৃত্ত টাকা বিদেশি মুদ্রায় কনভার্ট করে ব্যাঙ্কের লকারে রেখে দিন। ডলারের থেকেও বেশি দামি পাউন্ড। পাউন্ডের দাম প্রায় ১০০ টাকা। প্রতি মাসে বেতন পেয়েই যদি ৫০০ টাকা এখানে-সেখানে খরচ না করে ৫ পাউন্ড কিনে জমাতে থাকেন তবে বছরে আপনার জমবে ৬০ পাউন্ড। বিদেশি মুদ্রাগুলির দাম বাড়বে বই কমবে না। যে টাকায় আপনি কিনেছিলেন তার তুলনায় পাউন্ড, ডলার বা ইউরোর দাম যখন অনেকটা বাড়বে, তখন আবার সেগুলি ভারতীয় মুদ্রায় কনভার্ট করে নিন। এতে সঞ্চয়ও হবে আবার টাকা ডিমও পাড়বে।
৫। বাড়ির মধ্যে যিনি সবচেয়ে কড়া এবং কৃপণ, মাসের প্রথমে তাঁর হাতে কিছু টাকা তুলে দিন। তিনি সহজে টাকা বার করবেন না, আপনার সত্যিই প্রয়োজন পড়লে তবেই দেবেন।