এই মন্ত্রগুলি জপ করুন ,ভুত এবং আত্মারা ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না!
কলকাতা টাইমস :
আমাদের আশেপাশে খারাপ আত্মার দাপাদাপি বাড়লে ঘুমের সময় ভূতের স্বপ্ন দেখা যেমন বেড়ে যায়, তেমনি আরও কিছু লক্ষণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। যেমন ধরুন…ঘরে একা থাকার সময় মাঝে মাঝে মনে হবে কেউ যেন আপনার দিকে তাকিয়ে রয়েছে, সেই সঙ্গে হঠাৎ করে ঠান্ডা লাগতে শুরু করা, গা ছমছম করা, বাড়ির আশেপাশে কুকুরের চিৎকার বেড়ে যাওয়া এবং দরজায় টোকা মারার শব্দ শোনার মতো ঘটনা ঘটে থাকে। এমন ক্ষেত্রে কতগুলি মন্ত্র আছে, যা নিয়মিত পাঠ করা শুরু করলে খারাপ আত্মারা যেমন কোনও ক্ষতি করতে পারে না, সেই সঙ্গে কালো যাদুর খারাপ প্রভাবও কাটতে শুরু করে। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে চোখে পরার মতো। সেই সঙ্গে জীবন সুখ এবং সমৃদ্ধিতিতে ভরে যায়। প্রসঙ্গত, যে যে মন্ত্রগুলি পাঠ করলে ভয় দূর হয় এবং ভূতেদের প্রকোপ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়, সেগুলি হল…
১. গণেশ মন্ত্র: শাস্ত্র মতে এই মন্ত্রটি নিয়মিত পাঠ করা শুরু করলে আত্মারা যেমন দূরে থাকে, তেমনি স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটির প্রকোপও কমে। সেই সঙ্গে মনের অন্দরে ছোবল মারতে থাকা ভয়কে কমাতেও গণেশ মন্ত্রটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল-“ওম ঘথ ত্রাহা সায়া নামাহ”। এক্ষেত্রে একটি বিষয়ের দিকে নজর ফেরানো একান্ত প্রয়োজন। আজকের ডেটে নানা কারণে যুব সমাজের মধ্য়ে যেভাবে স্ট্রেসের শিকার যে নানাবিধ মারণ রোগের প্রকোপ চোখ মারার মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন এই শক্তিশালী গণেশ মন্ত্রটি পাঠ কত উপকার পাওয়া যায়।
২. হনুমান মন্ত্র: নিয়মিত হনুমান মন্ত্র জপ করলে কালো যাদুর প্রভাব কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে প্রেত-আত্মারাও ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। তাই যদি মনে হয় আপনার আশেপাশে খারাপ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে, তাহলে নিয়মিত “ওম হানুমাতে নামাহ”, এই মন্ত্রটি অথবা হনুমান চল্লিশা পাঠ করতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, মনের জোর বাড়ানোর পাশাপাশি সমৃদ্ধির পথকে প্রশস্ত করতেও এই মন্ত্রটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩. দূর্গা মন্ত্র: কালো যাদু এবং খারাপ শক্তির প্রভাব থেকে বাঁচাতে দূর্গা মন্ত্রও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই নানা কারণে যদি ভয় আপনার চিরসঙ্গী হয়ে থাকে এবং সেই সঙ্গে বারংবার ভূতেদের স্বপ্ন দেখতে থাকেন, তাহলে এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন! আসলে মা দূর্গা হলেন শক্তির প্রতীক। তাই তো “ওম সার্বা স্বরূপা সার্বেশা, সর্বো শক্তি সমনভিতা ভায়াভায়াসত্রাহি নো দেভি, দূর্গা দেবী নামাস্তুতে”, এই মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করলে মনোবল এতটা বেড়ে যায় যে কোনও খারাপ শক্তিই মন এবং শরীরের উপর প্রভাব ফেলতে পারে না।
৪. শিব মন্ত্র: ভুতের ভয় তো আছেই, কিন্তু মৃত্যুকে সাধারণ মানুষ সবথেকে বেশি ভয় পেয়ে থাকে। তাই কোনও ভাবে যদি এই ভয়কে একবার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা যায়, তাহলে জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলা বেজায় সহজ হয়ে যায়। এখন প্রশ্ন হল মৃত্যু ভয়কে কীভাবে হারানো সম্ভব? এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে এই মন্ত্রটি। ভগবান শিবের এই মন্ত্রটি নিয়মিত পাঠ করা শুরু করলে মৃত্যু ভয় তো দূর হয়ই, সেই সঙ্গে খারাপ শক্তির প্রভাবও কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রটি হল- “ওম ত্রম্বকে ইযামাহে সুগান্ধিয়াম পুষ্টি বার্ধানাম উর্ভারুকামিভা বান্ধানাথ মৃত্যুমুকশিয়া মামরিতাত”।
৫. বিষ্ণু মন্ত্র: বেজায় খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন নাকি? সেই সঙ্গে ভূতের ভয় যেন পিছুই ছাড়ছে না? তাহলে বন্ধু আজ থেকেই বিষ্ণু মন্ত্র জপ করা শুরু করুন। দেখবেন গুড লাক যেমন আপনার চিরসঙ্গী হবে, তেমনি যে কোনও ধরনের নেগেটিভ শক্তির খারাপ প্রভাব পরার আশঙ্কাও যাবে কমে। শুধু তাই নয়, আত্মা এবং ভূতেরাও দূরে থাকতে বাধ্য হবে। এক্ষেত্রে যে মন্ত্রটি পাঠ করা শুরু করতে হবে। সেটি হল- “ওম ওহরজিতায়া নমহ!