ঘুমে বৃদ্ধ বললেন, সকালে মাটি খুঁড়তেই মিললো গুপ্তধনের কলসি!
খবর পেয়ে লুট হওয়ার হাত থেকে ওই কলসি ও কিছু মুদ্রা উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে বাবাকে নিয়ে কুশমণ্ডির পরমেশ্বরপুর গ্রামে দিদির বাড়িতে ঘুরতে আসে নদিয়া জেলার বিশাল বৈশ্য। তারপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্র জামাইবাবু রামধন সরকারের সঙ্গে গ্রামের জলাতে যেত।
মাঠ থেকে কাটা পাটগাছ জলে ভিজিয়ে দিয়ে ফের ফিরে আসত দিদির বাড়ি। রবিবারও একই কাজ করতে গিয়েছিল সে। কিন্তু, আজ জলাতে পাটগাছ ভেজাতে দেওয়ার সময় পাশে একটি উঁচু জায়গায় নজর যায় বিশালের। তারপর সেখানে কিছু আছে মনে করে জায়গাটা খুঁড়তে শুরু করে। কিছুক্ষণ খোঁড়ার পরেই বেরিয়ে পরে একটি পিতলের কলসি।
তার চারদিকে মাটি লেগেছিল। মাটি ভরতি সেই কলসটি কাছে একটি গাছে ছুঁড়ে মারে সে। এরপর কলসিটি ভেঙে বেরিয়ে পরে অসংখ্য রুপোর মুদ্রা। বিষয়টি চোখে পড়তেই এগিয়ে আসে স্থানীয় মানুষ। তারপর অবাধে চলতে থাকে লুটপাট। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পরে পুলিশ এসে ওই কলসি ও কিছু মুদ্রা উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি বিশাল নামে ওই কিশোরকে থানায় নিয়ে গিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
এপ্রসঙ্গে বিশাল বলে, তাকে অনেকদিন ধরে রাতে এক বৃদ্ধ স্বপ্নাদেশ দিচ্ছিল। বলছিলেন, ওই জলার ধারে একটি কলসি আছে। সেটি নিয়ে যেতে। আজ সে জামাইবাবুর সঙ্গে পাটগাছ ভেজাতে গিয়েছিল। সেসময় আচমকা চোখ যায় পাশে থাকা একটি উঁচু ঢিবির দিকে। এরপর কৌতূহলের বশে মাটি খুঁড়তে শুরু করি। তখনই বেরিয়ে পরে কলসি। সেটির গায়ে মাটি লেগে থাকায় পাশের একটি গাছে ছুঁড়ে মারি। তখন কলসিটা ফেটে গিয়ে তার ভিতরের রুপোর মুদ্রা বাইরে বেরিয়ে পড়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কলসির মধ্যে থেকে ৪৬টি রুপোর কয়েন উদ্ধার হয়েছে।