এবার যত খুশি সেলফি তুলুন তাহলেই বাঁচবেন ক্যানসারের থেকে
কলকাতা টাইমস :
সেলফি তুলতে তো সবার ভালো লাগে। কিন্তু নিন্দুকরা বলে এই সেলফির নেশায় জীবনটায় চলে যায় অনেকের। এবার এসব নিন্দুকের মুখে ঝামা ঘষে বলতে পারবেন এই সেলফি এখন ধরিয়ে দেবে আপনার ক্যানসার।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের গবেষকরা এমন একটি অ্যাপ বানিয়েছেন যার মাধ্যমে প্যানক্রিয়েটিক ক্যানসার শনাক্ত করা যাবে। জানলে অবাক হবেন, সেলফি তুললে সেই সেলফি বিশ্লেষণ করেই প্যানক্রিয়েটিক ক্যানসার ধরতে পারবে অ্যাপটি।
এই অ্যাপের নাম ‘বিলিস্ক্রিন’। এটা স্মার্টফোনের ক্যামেরাকে ব্যবহার করবে। কম্পিউটারের ভিশন অ্যালগোরিদম আর মেশিন লার্নিং টুলস-এর মাধ্যমে যিনি সেলফি তুলবেন তার চোখের সাদা অংশের বিলিরুবিনের মাত্রা পরীক্ষা করবে।
প্রাথমিক অবস্থায় প্যানক্রিয়েটিক ক্যান্সার এবং অন্যান্য কিছু রোগের অন্যতম লক্ষণ হলো চোখের সাদা অংশের স্বাভাবিক রং অন্যরকম হয়ে যাওয়া। রক্তে বিলুরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে ত্বক ও চোখের রং অস্বাভাবিক হয়ে যায়।
প্রাপ্তবয়স্কদের চোখের সাদা অংশের রঙ ত্বকের চেয়েও স্পর্শকাতর। রক্তে বিলুরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে বড়দের চোখের সাদা রঙ অনেক হলুদাভ হয়ে ওঠে। চোখ বা ত্বকের মাধ্যমে বিপজ্জনকমাত্রার বিলিরুবিন যদি ক্যামেরা ধরতে পারে, তবে সময়ের অনেক আগেই আসন্ন রোগ শনাক্ত করা যেতে পারে।
প্রধান গবেষক অ্যালেক্স মারিয়ামাকিস বলেন, প্যানক্রিয়েটিক ক্যান্সারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, এর লক্ষণ যখন প্রকাশ পেতে শুরু করে তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। তাই এই অ্যাপটির মাধ্যমে হয়তো এ ক্যান্সারের আক্রান্তদের সময়মতো চিকিৎসা শুরু করা যাবে।
তবে নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে এর আগমনীবার্তা পাওয়া যায়। কিন্তু সেই পরীক্ষা তো আর সম্ভব হয় না। তাই মানুষ যেন ঘরে বসেই সেলফি তোলার মতো মজার কাজ থেকেই এ ধরনের রোগের বার্তা পেতে পারে সেই ব্যবস্থাই করা হয়েছে।
প্রাথমিক অবস্থায় এক ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ৭০ জনকে বেছে নেওয়া হয়। তাদের সেলফি তুলে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এই অ্যাপটি চোখের সাদা অংশের রঙের বিশ্লেষণ করে। সমস্যা ধরা সম্ভব হয়েছে ৮৯.৭ শতাংশ নিখুঁতভাবে।
ইউবিকম্প ২০১৭-এ নতুন অ্যাপটির বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমানে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে বিরিরুবিনের মাত্রা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু বিশেষ সমস্যা চোখে না পড়া পর্যন্ত কেই প্যানক্রিয়েটিক ক্যান্সারের জন্য রক্ত পরীক্ষা করান না।
তাই ‘বিলিস্ক্রিন’কে প্যানক্রিয়েটিক ধরার সবচেয়ে সরল ও সহজ পদ্ধতি বলে মনে করা হচ্ছে। অন্তত এই অ্যাপের মাধ্যমে যদি সন্দেহজনক কিছু ধরা পড়ে, তবে বিশেষজ্ঞের কাছে সময়মত উপস্থিত হওয়া যাবে। এতে সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু সম্ভব হবে।