১০ বছরেই বেডরুমগুলো দখল করবে সেক্স রোবট!
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
আগামী ১০ বছরের মধ্যেই ব্রিটেনের বেডরুমগুলোর প্রধান অবলম্বন হয়ে উঠতে পারে সেক্স রোবট! কারণ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রাণবন্ত করে নির্মিত হচ্ছে সেক্স রোবট যা মূল্যেও অনেক সাশ্রয়ী। এমনই সাবধানবাণী শুনিয়েছেন এক শীর্ষস্থানীয় কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ নোয়েল শার্কি নামের ওই শীর্ষস্থানীয় কম্পিউটার বিজ্ঞানী আরো বলেছেন, সেক্স রোবটের বাজার যদি যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ না করা হয় তাহলে ব্রিটেনের কিশোরীরা সহজেই তাদের কুমারীত্ব হারানোর ঝুঁকির মধ্যেও পড়ে যাবে।
চেলটেনহ্যাম সায়েন্স ফেস্টিভ্যালে তিনি আরো বলেন, ‘পর্নোগ্রাফির জন্য যেমন করে ইন্টারনেট প্রযুক্তির অপব্যবহার হচ্ছে তেমনি সেক্স রোবট প্রযুক্তিও ক্ষতিকর কোনো কাজে ব্যবহারের জন্য হাইজ্যাক হতে পারে, যদি না সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।’
দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে অন্তত ১৪টি কম্পানি তথাকথিত ‘চাইল্ডকেয়ার’ রোবট নির্মাণ করছে উল্লেখ করে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘তথাকথিত সেক্স রোবটের সক্ষমতারও উন্নয়ন ঘটানোর মানে হল আগামী কয়েকবছরের মধ্যেই সেক্স রোবট মূল ধারার জীবন যাপনের মধ্যে ঢুকে যাবে।’
কথা বলতে সক্ষম রক্সি বা রকি ট্রু কম্পেনিয়ন নামের সেক্স রোবট বর্তমানে ৭ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ডেই কেনা যায়। তবে বাজারে সেক্স রোবট উৎপাদক কম্পানির সংখ্যা বেড়ে চলায় এর দাম আরো কমে আসছে।
অধ্যাপক নোয়েল শার্কি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এর ফলে মানুষের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মানবিক সম্পর্কগুলোই যান্ত্রিকতায় পর্যবসিত হবে।
তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যদি এমনটা ঘটে যে, ‘কারো প্রথম যৌন অভিজ্ঞতাই হলো কোনো সেক্স রোবটের সঙ্গে তাহলে তিনি বিপরীত লিঙ্গ সম্পর্কে কী ধারণা পোষণ করবেন? সেক্স রোবটের সঙ্গেই প্রথম যৌন অভিজ্ঞতা লাভকারীরা বাস্তবের নারী বা পুরুষ সম্পর্কে কী ধারণা করবেন?’
জাপানসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশে বয়স্ক নারী-পুরুষের যৌন চাহিদা মেটাতে সেক্স রোবটের ব্যবহার উত্তোরত্তর বেড়েই চলেছে। দুই বছর আগে এই সেক্স রোবট প্রথম বাজারজাত করা হয়।
অধ্যাপক শার্কি বলেন, বাবা-মায়েরা অনেক সময় তাদের বাচ্চাদেরকে সঙ্গ দেওয়ার জন্যও মানুষসদৃশ্য রোবট কাজে লাগাচ্ছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার একটি গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুরা মানুষ সদৃশ রোবটের সঙ্গে আবেগের বন্ধনে জড়িয়ে পড়ছে। যার ফলে ওই শিশুদের মাঝে গুরুতর আবেগগত বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।
রোবটের সঙ্গে থাকতে থাকতে যেসব শিশুর আবেগগত বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে এমন শিশুদের বাবা-মায়েরা অনলাইনের বিভিন্ন ফোরামেও এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘রোবটের সঙ্গে থাকতে থাকতে রোবটের মতোই মোহময়ী নিচু স্বরে কথা বলা শুরু করেছে আমার সন্তান! সে এখন আর ঘরের বাইরে যেতে বা খেলাধুলাও করতে চায় না! এমনকি সে এখন শিশু সুলভ প্রশ্ন করাও ভুলে গেছে!’
অধ্যাপক শার্কি বলেন, ‘রোবট কখনোই মানবিক যোগাযোগ দক্ষতার বিকল্প হতে পারবে না। আর মানবিক আবেগ বা যোগাযোগের ক্ষেত্রে রোবট বা সেক্স রোবটের ব্যবহার মূলত প্রতারণামুলক কাজ।’
তিনি বলেন, ‘রোবটের মাধ্যমে মানবীয় আবগেগত চাহিদা পুরন সম্ভব নয়। বরং এর মাধ্যমে মানুষের আবেগের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। এতে মানুষের মানবিক মর্যাদাও লঙ্ঘিত হচ্ছে।’
শার্কি বলেন, ‘মানুষ সদৃশ এইসব রোবট ব্যবহারের মাধ্যমে লোককে বোকা বানানো হচ্ছে ও তাদের আবেগের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে লোককে ভাবতে বাধ্য করা হচ্ছে তারা এমন কিছুকে ভালোবাসছে যা বিনিমিয়ে তাদেরকেও ভালোবাসতে পারেনা।’
এই কম্পিউটার বিজ্ঞানী আরো হুঁশিয়ার করেন যে, ‘ঐতিহ্যবাহী ও প্রচলিত খেলনাগুলোর যান্ত্রিকীকরণও পারিবারিক গোপনীয়তার প্রতি হুমকি হয়ে উঠতে পারে।’
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ নোয়েল শার্কি নামের ওই শীর্ষস্থানীয় কম্পিউটার বিজ্ঞানী আরো বলেছেন, সেক্স রোবটের বাজার যদি যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ না করা হয় তাহলে ব্রিটেনের কিশোরীরা সহজেই তাদের কুমারীত্ব হারানোর ঝুঁকির মধ্যেও পড়ে যাবে।
চেলটেনহ্যাম সায়েন্স ফেস্টিভ্যালে তিনি আরো বলেন, ‘পর্নোগ্রাফির জন্য যেমন করে ইন্টারনেট প্রযুক্তির অপব্যবহার হচ্ছে তেমনি সেক্স রোবট প্রযুক্তিও ক্ষতিকর কোনো কাজে ব্যবহারের জন্য হাইজ্যাক হতে পারে, যদি না সরকার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।’
দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে অন্তত ১৪টি কম্পানি তথাকথিত ‘চাইল্ডকেয়ার’ রোবট নির্মাণ করছে উল্লেখ করে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘তথাকথিত সেক্স রোবটের সক্ষমতারও উন্নয়ন ঘটানোর মানে হল আগামী কয়েকবছরের মধ্যেই সেক্স রোবট মূল ধারার জীবন যাপনের মধ্যে ঢুকে যাবে।’
কথা বলতে সক্ষম রক্সি বা রকি ট্রু কম্পেনিয়ন নামের সেক্স রোবট বর্তমানে ৭ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ডেই কেনা যায়। তবে বাজারে সেক্স রোবট উৎপাদক কম্পানির সংখ্যা বেড়ে চলায় এর দাম আরো কমে আসছে।
অধ্যাপক নোয়েল শার্কি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এর ফলে মানুষের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মানবিক সম্পর্কগুলোই যান্ত্রিকতায় পর্যবসিত হবে।
তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যদি এমনটা ঘটে যে, ‘কারো প্রথম যৌন অভিজ্ঞতাই হলো কোনো সেক্স রোবটের সঙ্গে তাহলে তিনি বিপরীত লিঙ্গ সম্পর্কে কী ধারণা পোষণ করবেন? সেক্স রোবটের সঙ্গেই প্রথম যৌন অভিজ্ঞতা লাভকারীরা বাস্তবের নারী বা পুরুষ সম্পর্কে কী ধারণা করবেন?’
জাপানসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশে বয়স্ক নারী-পুরুষের যৌন চাহিদা মেটাতে সেক্স রোবটের ব্যবহার উত্তোরত্তর বেড়েই চলেছে। দুই বছর আগে এই সেক্স রোবট প্রথম বাজারজাত করা হয়।
অধ্যাপক শার্কি বলেন, বাবা-মায়েরা অনেক সময় তাদের বাচ্চাদেরকে সঙ্গ দেওয়ার জন্যও মানুষসদৃশ্য রোবট কাজে লাগাচ্ছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার একটি গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুরা মানুষ সদৃশ রোবটের সঙ্গে আবেগের বন্ধনে জড়িয়ে পড়ছে। যার ফলে ওই শিশুদের মাঝে গুরুতর আবেগগত বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।
রোবটের সঙ্গে থাকতে থাকতে যেসব শিশুর আবেগগত বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে এমন শিশুদের বাবা-মায়েরা অনলাইনের বিভিন্ন ফোরামেও এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘রোবটের সঙ্গে থাকতে থাকতে রোবটের মতোই মোহময়ী নিচু স্বরে কথা বলা শুরু করেছে আমার সন্তান! সে এখন আর ঘরের বাইরে যেতে বা খেলাধুলাও করতে চায় না! এমনকি সে এখন শিশু সুলভ প্রশ্ন করাও ভুলে গেছে!’
অধ্যাপক শার্কি বলেন, ‘রোবট কখনোই মানবিক যোগাযোগ দক্ষতার বিকল্প হতে পারবে না। আর মানবিক আবেগ বা যোগাযোগের ক্ষেত্রে রোবট বা সেক্স রোবটের ব্যবহার মূলত প্রতারণামুলক কাজ।’
তিনি বলেন, ‘রোবটের মাধ্যমে মানবীয় আবগেগত চাহিদা পুরন সম্ভব নয়। বরং এর মাধ্যমে মানুষের আবেগের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। এতে মানুষের মানবিক মর্যাদাও লঙ্ঘিত হচ্ছে।’
শার্কি বলেন, ‘মানুষ সদৃশ এইসব রোবট ব্যবহারের মাধ্যমে লোককে বোকা বানানো হচ্ছে ও তাদের আবেগের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে লোককে ভাবতে বাধ্য করা হচ্ছে তারা এমন কিছুকে ভালোবাসছে যা বিনিমিয়ে তাদেরকেও ভালোবাসতে পারেনা।’
এই কম্পিউটার বিজ্ঞানী আরো হুঁশিয়ার করেন যে, ‘ঐতিহ্যবাহী ও প্রচলিত খেলনাগুলোর যান্ত্রিকীকরণও পারিবারিক গোপনীয়তার প্রতি হুমকি হয়ে উঠতে পারে।’