‘সে আমাকে ফেলে একাই হনিমুনে চলে গেল’
কলকাতা টাইমস :
গিয়েছিল!’ঝটপট বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়েছিলেন অনিল কাপুর। বর্তমানে স্ত্রী সুনিতা কাপুরের সঙ্গে ৪৫ বছরের সম্পর্ক। ১৫ বছরের প্রেম আর ৩০ বছরের বৈবাহিক জীবন। ‘হিউম্যানস অব বম্বে’-এর ফেসবুক পেজে প্রেম থেকে বিয়ে— সবকিছুই খোলামেলাভাবে শেয়ার করলেন অনিল।সেখানে অনিল লিখছেন, ‘যেই না আমার প্রথম ছবির অফার আসে, ভেবেছিলাম যে, এবার কিচেন হয়ে যাবে, বাড়ি তৈরি হয়ে যাবে, সবই ধীরে ধীরে হয়ে যাবে। তাহলে বিয়েটা এবার চটপট সেরে ফেলতে হবে। আর সঙ্গে সঙ্গে আমি সুনিতাকে ফোন করে বলি, চলো! কালই আমরা বিয়ে করে ফেলি। হয় কাল নয়তো আর কখনও নয়। ঠিক তারপরের দিন আমরা বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়ি।’
তবে মজার বিষয়টা হল, একা একাই মধুচন্দ্রিমা করতে চলে গিয়েছিলেন অনিল পত্নী সুনিতা। অনিল লিখেছেন,‘বিয়ের তিন দিন পরেই আমার আউটডোর শুট ছিল। ম্যাডাম আমার জন্য আর অপেক্ষা করেননি। একা একাই চলে গিয়েছিলেন হানিমুনে।’ তবে কেন সুনিতা একা গিয়েছিলেন বা পরে অনিল যোগ দিয়েছিলেন কিনা, তা অবশ্য খোলসা করেননি নায়ক।
‘আমারই এক বন্ধু সুনিতাকে আমার ফোন নম্বর দিয়েছিল। তা-ও আবার প্র্যাঙ্ক কল করার জন্য। সেই আমার প্রথম সুনিতার গলা শোনা। আর প্রথম বার গলা শুনেই আমি সুনিতার প্রেমে পড়ে যাই’— ফেসবুকে লিখেছেন অনিল।
ব্যস! তারপর আর এই লাভ কাপলকে দেখে কে! জমে উঠেছিল অনিল আর সুনিতার প্রেমকাহিনি। ১৯৮৪-র মে মাসে সুনিতার গলায় মালা পরান তখনকার উঠতি অভিনেতা অনিল কাপুর। আর সেই বছরেই মুক্তি পেয়েছিল অনিল কাপুরের প্রথম ছবি ‘মেরি জং’।
তবে বিয়ের আগে বহুদিন ধরে ডেট করে যাচ্ছিলেন দু’জনে। বিয়ে করার জন্য সুনিতার তরফে বিন্দুমাত্র চাপ এসে পড়েনি অনিলের কাঁধে। ‘সুনিতা আমাকে আমার থেকেও বেশি চেনে। আমারা বাড়ি আর জীবনটা একসঙ্গেই গড়েছি।’
সুনিতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ মিস্টার কাপুর। ফেসবুকে যোগ করলেন,‘সুনিতা পারফেক্ট মাদার, পারফেক্ট স্ত্রী’। তবে আর পাঁচটা মানুষের মতো টুকটাক ঝামেলা তাদের মধ্যেও লেগে থাকে। কারণ? অনিল লিখেছেন,‘সুনিতা খালি টাকা চায় আমার কাছে। যেই বলি, কালই তো তোমাকে টাকা দিলাম। ওর একটাই উত্তর, শেষ হয়ে গেছে।’
তবে অনিল কাপুরকে আজকাল ফ্যানটাস্টিক ফ্যানি বলছেন তার ফ্যানেরা। কারণ, তার ছবি ফ্যানি খান মুক্তি পেতে চলেছে তাড়াতাড়ি।