তার দেহ ২৭ হাজার টুকরো করা করাত ও ফ্রিজ দুই দেখে যান তিনি
কলকাতা টাইমস :
মৃত্যুর পর ২৭ হাজার টুকরো করা হয়েছে এক মহিলার দেহ। এমনটাই শেষ ইচ্ছে ছিল ওই মহিলার।
জানা গেছে সু পটার নামের ওই মহিলা আমেরিকার ডেনভারের বাসিন্দা। ২০১৫ সালে ৮৭ বছর বয়সে মারা যান তিনি। মৃত্যুর আগে তিনি তার ইচ্ছাপত্রে লিখে যান, তিনি এমন কিছু রেখে যেতে চান যা সমগ্র মানব জাতির কাজে আসবে। তিনিই পরিকল্পনা করে যান, তার মৃতদেহ সংরক্ষণ করা হবে এবং এক ‘ডিজিটাল মরদেহে’ পরিণত করা হবে।
সেই কথা মাথায় রেখেই সম্প্রতি সু-র সংরক্ষিত দেহ ২৭ হাজার টুকরো করা হয়। চুলের মতো সূক্ষ্ম ওই খণ্ডগুলোর আণুবীক্ষণিক ছবির থ্রি ডি ডিজিটাল রূপ ধরে রাখা হয়। এই ‘সংরক্ষণ’ মূলত চিকিৎসা বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের কাজে আসবে।
২০১৫ সালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান সু। পরে তিন বছর তার দেহ সংরক্ষিত রাখা হয়। এই সময়ে তার মৃতদেহের বিভিন্ন রকমের ছবি তুলে রাখা হয়।
সেই ছবি ব্যবহার করেই তার মরদেহ খণ্ড-বিখণ্ড করা হয়। ‘ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক’-এর তরফে এই পদ্ধতির এক বিস্তারিত ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়েছে।
এই বিচিত্র সংরক্ষণটি ঘটেছে ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডোর সেন্টার ফর হিউম্যান সিম্যুলেশন-এ। সংস্থার ডিরেক্টর ভিক স্পিৎজার এই প্রক্রিয়ার বিস্তারিত বিবরণও দিয়েছেন।
জানা গেছে, সু ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডোর হিউম্যান সিম্যুলেশন সংক্রান্ত এক প্রবন্ধ পড়েই অনুপ্রাণিত হন এবং সিদ্ধান্ত নেন তিনি তার মরদেহ এই কাজে দান করে যাবেন। এ ভাবেই তিনি ‘অমরত্ব’ অর্জন করবেন, এটাই ছিল তার ভাবনা।
মৃত্যুর আগে সু সেই ‘করাত’টিকে দেখতে চান, যা দিয়ে তাকে খণ্ড খণ্ড করা হবে। সেই ‘ফ্রিজ’টিকেও তিনি দেখতে চান, যেখানে তার মরদেহ রাখা হবে। তার সেই ইচ্ছা পূরণ করেছিলেন গবেষকরা।