নিজের বয়স ৩৯, অথচ জন্ম দিয়ে ফেলেছেন ৪৪ সন্তানের !
কলকাতা টাইমসঃ
একজন মহিলা সর্বোচ্চ কতজন সন্তান জন্ম দিতে পারেন। হয়তো সমাজ-পরিবেশ-পরিস্থিতি ভেদে সেই সংখ্যা খুব বেশি হবে না। আর এখন তো অনেকে লালন পালনের কথা ভেবে খুব বেশি সন্তান নিতেও চান না। অনেক দেশে আবার সন্তান ধরণের নির্দিষ্ট নীতি রয়েছে। কিন্তু উগান্ডার মারিয়াম নাবাতানজি নামের এক মহিলা ইতিমধ্যেই ৪৪ সন্তানের মা হয়েছেন।
বর্তমানে তার বয়স মাত্র ৩৯ বছর। কিন্তু এতো অল্প বয়সেই এতগুলো সন্তানের মা হয়েছেন মারিয়াম। আর তাই তাকে উগান্ডার ‘সবচেয়ে উর্বর নারী’ বলা হয়। মারিয়ামের এই শিশুদের মধ্যে চার জোড়া যমজ সন্তান রয়েছে। একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এমন ঘটনা ঘটেছে তিনবার। ১৩ বছর বয়সে বিয়ে হওয়া মারিয়াম বলেন, আমি ছয় সন্তানের মা হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি চারবার মা হই এবং প্রত্যেকবারই যমজ সন্তানের জন্ম দিই। তবে আট সন্তান আমার চাওয়ার চেয়েও বেশি ছিল। তাই আমি হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারকে বলি, তিনি যেন আমার সন্তান জন্ম দেওয়াটা বন্ধ করে দেন। ডাক্তাররা আমার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। তারপর তারা জানান, সন্তান জন্মদান বন্ধ করে দিলে আমার জীবন হানির আশংকা রয়েছে।
উগান্ডার এই মহিলা আরও বলেন, আমি সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে খুবই উর্বর। ডাক্তারের পরামর্শ শুনে আমি বাড়ি ফিরে আসি। এরপর আমি তিনবার পাঁচটি করে সন্তানের জন্ম দিই। মারিয়াম বলেন, এক বছরের ব্যবধানে তিনি সন্তান জন্ম দিয়েছেন এবং তার সব শিশুরই স্বাভাবিক জন্ম হয়েছে। তিনি বলেন, আমি জন্ম নিরোধক ব্যবহার করারও চেষ্টা করেছি কিন্তু সেগুলো কাজ করেনি। ডাক্তারি পরীক্ষায় আমার হাইপাররোভ্যুলেশন নামে বিরল এক শারীরিক রোগ ধরা পড়ে। এটি এমন একটি রোগ যেখানে আক্রান্ত নারী যখনই মা হবেন তখন সে যমজ, তিন বা চারটি সন্তানের জন্ম দেবেন।
এদিকে মারিয়ামকে বহুদিন ধরে নির্যাতন করার কারণে তার স্বামী এখন আর তার সঙ্গে থাকেন না। কিন্তু একসঙ্গে এত সন্তান লালন-পালন করা মারিয়ামের একার পক্ষে বেশ কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তারপরও তিনি খুশি এবং নিজের সন্তানের ভালো ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চান মারিয়াম।