ত্রাস হয়ে ওঠা রশিদ কে দ্বিতীয় শ্রেণীর বোলারে পরিণত করলেন শিখর ধাওয়ান
কলকাতা টাইমসঃ
এই দুদিন আগেও যে রশিদ খানকে নিয়ে গোটা ক্রিকেটবিশ্ব ভয়ে অস্থির হয়ে ছিল; সেই রশিদ খান নিজেদের অভিষেক টেস্টে বেদম পিটুনি খেলেন! ভারতের ওপেনার শিখর ধাওয়ান তো তাকে দ্বিতীয় শ্রেণীর বোলারে পরিণত করলেন। ধাওয়ান সবচেয়ে বেশি চড়াও হয়েছেন রশিদ আর মুজিবের ওপর। হাঁকিয়েছেন বিধ্বংসী সেঞ্চুরি। যা একটি রেকর্ডও বটে! কিন্তু কোন জাদুমন্ত্রে রশিদের মত মায়াবী ঘাতককে উপেক্ষা করলেন ধাওয়ান?
ব্যাঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক টেস্টর আজ দ্বিতীয় দিন। এতদিন টি-টোয়েন্টিতে ভেলকি দেখিয়ে যাওয়া আফগানরা বুঝতে পারছে আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেট কতটা কঠিন। ভারতের পেশাদার দলটি প্রথম ইনিংসে তুলেছে ৪৭৪ রান। জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন শিখর ধাওয়ান আর মুরালি বিজয়। ৭৪ বলে ৭১ রান করেছেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। জবাবে মাত্র ১০৯ রানে আউট হয়ে ফলোঅনে পড়েছে আফগানরা। দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমেও ৬১ রানে হারিয়েছে ৪ উইকেট। এই টেস্টের ভাগ্যে কী লেখা আছে তা আজই স্পষ্ট হয়ে গেছে।
এই ম্যাচে রশিদ খান হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে টেস্ট ফরম্যাট কাকে বলে। দুনিয়ার বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের ঘোল খাওয়ানো এই লেগ স্পিনার প্রথম ইনিংসে ১৫৪ রানে নিয়েছেন ২ টি উইকেট। টেস্ট অভিষেকে সবচেয়ে বাজে বোলিংয়ের রেকর্ডটা এখনও আছে কিংবদন্তি অজি স্পিনার শেন ওয়ার্নের দখলে। ১৯৯২ সালে এই ভারতেরই বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে ১ উইকেট নিয়েছিলেন ওয়ার্ন। ১ উইকেট বেশি নিয়ে ওয়ার্নের লজ্জার ‘রেকর্ড’টা ভাঙা হয়নি রশিদের।
কিন্তু কীভাবে এই রশিদকে অবলীলায় পেটালেন ধাওয়ান। রহস্য ফাঁস করার পর জানা গেল, এর পেছনে আছে সেই আইপিএল! টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ বোলার রশিদ আর শিখর ধাওয়ান দুই বছর ধরেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদে খেলছেন। ধাওয়ানের ভাষায়, ‘আইপিএলে একই দলে খেলায় একটা সুবিধা হলো, দুই বছর ধরে তাঁকে আমি নেটে খেলার সুযোগ পেয়েছি। তার বোলিংয়ে আমি অভ্যস্ত। এটা একটা বড় সুবিধা ছিল।’