কোন জামাটা পরে শেষ যাত্রায় শোবেন, তারও আগাম শপিং!
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
মৃত্যুর কথা ভাবলে গা শিউরে ওঠে। কে চায় পৃথিবীর মায়া ছেড়ে পরপারে যেতে? কিন্তু বাস্তবতা হলো- জীবনের পরিক্রমায় একদিন সবাইকেই এ দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতেই হবে। মরতে হবে সবাইকে। অজানা সেই দিনের জন্য আবার অনেকে কম বেশি প্রস্তুতিও নিয়ে থাকেন। এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। জীবন্ত অবস্থায় কারো কবরে যাওয়ার কথা শোনা না গেলেও এবার ঘটছে তা-ই! মৃত্যুর জন্য আগাম শপিং করে ফেলেছেন। মারা যাওয়ার পর কেমনভাবে সাজ গোজ করা হবে, দেখতে কেমন লাগবে এবং কি জামা পরবেন; কখনো কি তা ভেবে দেখেছেন?
মৃত্যুর পর যে জামা পরবেন এখন থেকে তা কিনেও রেখে দিতে পারেন। জাপানের প্রচলিত একটি ফেস্টিভ্যাল হল ‘শাকাতসু ফেসতা’। শাকাতসু কথার অর্থ হলো মরার জন্য প্রস্তুতি। অন্তত পক্ষে ৫ হাজার মানুষ এই ফেস্টিভ্যালে যোগদান করেছিলেন। এমনকি কোন কফিনের সঙ্গে কোন জামা ম্যাচ করবে সেটাও দেখে নিলেন তারা। মৃত্যুকালীন জামা পড়ে কফিনের ভেতর চোখ বুঁজে শুয়ে নিজেদের ফটো তুললেন। এই ফেস্টিভ্যালে মোট ৫০টি কফিন কোম্পানি এসে যোগ দিয়েছিল।
ভয়কে জয় করেই জাপানে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে ‘অদ্ভূত’ এক উৎসব; যার নাম ‘শাকাতসু ফেসাত’। জাপানি ভাষায় ‘শাকাতসু’ শব্দের অর্থ ‘মরার জন্য প্রস্তুতি’; বলা বাহুল্য এই শাকাসতু ফেসাতের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে মৃত্যুর প্রস্তুতি। শাকাতসু ফেসাত বা জাপানি সংস্কৃতির মৃত্যুর এই প্রস্তুতির পুরোটাই জাগতিক। প্রতিবছর হাজারো লোকের আগমন ঘটে এই শাকাতসু ফেসাতে। এটা এক ধরনের মৃত্যু মহড়া। তবে জাপানের এই শাকাতসু ফেসাতের বিষয়টি বুঝার জন্য আরেকটি সহজ উপায় হলো- জনসংখ্যার অনুপাতে দেশটিতে বৃদ্ধলোকের হার মনে রাখা।
চলতি বছর জাপান টানা তৃতীয়বারের মতো পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ‘বুড়োদের দেশ’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশটির মোট জনসংখ্যার চার ভাগের এক ভাগের বয়সই ৬৫ বছরের বেশি। সে কারণেই বোধহয় শেষকৃত্য নিয়ে এত আগ্রহ জাপানিদের।