অবাক হবেন, অ্যাংজাইটি অ্যাটাক আসলে শরীরের ডিফেন্স মেকানিজিমই

কলকাতা টাইমস :
আচ্ছা, আপনাদের কি জানা আছে কীভাবে শরীর নানা ক্ষতিকর উপাদানের হাত থেকে আমাদের বাঁচায়? শুনলে আবাক যাবেন শরীরের এমন কিছু বায়োলজিকাল সার্কেল আছে যা সৈনিকের মতো আমাদের ভেতর ও বাইরে থেকে প্রতিনিয়ত রক্ষা করে চলেছে। এই প্রবন্ধে শরীরের তেমনই কিছু সেল্ফ ডিফেন্স মেকানিজম নিয়ে আলোচনা করা হল। আমার তো ৮-৯ ঘন্টা কাজ করেই হাপিঁয়ে যাই। কিন্তু মজার বিষয় হল শরীর তার কাজ কখনও থামায় না, কখনও ক্লান্তও হয় না। দিবারাত্র শরীরের আত্মরক্ষার পদ্ধতি সজাগ থাকে, পাছে আমাদের শরীর খারাপ হয়ে যায়। তাই তো চিকিৎসকেরা আমাদের সব সময় শরীরকে যত্নে রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু আমরা কি তা করি?
শুনলে আবাক হয়ে যাবেন আপনারা আমরা যে ভয় পাই বা যাকে অ্যাংজাইটি অ্যাটাক বলে, তা আসলে কিন্তু শরীরের ডিফেন্স মেকানিজিমেরই একটা অংশ। এখন নিশ্চয় জানতে ইচ্ছা করছে শরীরের এইসব হাতীয়ারগুলি কীকী। চলুন একটু চোখ ফেরান যাক শরীরের সেই সব অতন্দ্র প্রহরীদের দিকে।
১. হাই তোলা: এত দিন কি জানতেন হাই তোলাও শরীরের ডিফেন্স মেকানিজিমের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ? আমরা তখনই হাই তুলি, যখন মস্তিষ্ককে ঠান্ডা করার প্রয়োজন হয়। কৃমির সমস্যায় নাজেহাল? ভরসা রাখুন এই কয়েকটি খাবারে!
২. হাঁচি: যখনই আমাদের নাসারন্ধ্র অ্যালার্জি, মাইক্রোবিস অথবা ধুলোতে একেবারে ভরে যায় তখনই শরীরের নির্দেশে আমাদের হাঁচি পায়। আর হাঁচির সঙ্গে এইসব নংরাও আমাদের শরীর থেক বেরিয়ে গিয়ে শরীরকে ভালো রাখে
৩. হাত-পা প্রসারিত করা: শরীরকে যখনই অতিরিক্ত ভার নেওয়ার জন্য তৈরি হতে হয়, তখনই আমাদের হাত-পা টান টান করতে মন চায়। আসলে যখনই আমরা স্ট্রেচিং করি তখনই আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশের পেশিগুলি শিথিল হয়ে যায়, ফলে রক্ত চলাচল বেরে গিয়ে শরীর একেবারে চাঙ্গা করে তোলে।
৪. হেচকি তোলা: খেতে খেতে অনেকেরই হেচকি ওঠে। এমনটা কেন হয় জানা আছে? আমাদের শরীরে নিউমোগেসটিক নার্ভ বলে একটা নার্ভ আছে। আমরা যখনই খুব তারাতারি খাবার খাই, তখনই এই নার্ভটি উত্তেজিত হয়ে যায়। এই নার্ভটির সঙ্গে স্টমাকের খুব গভীর সম্পর্ক। তাই নার্ভটি যখনই ইরিটেটেড হয়, তখনই স্টমাক প্রভাবিত হয়ে হেচকি উঠতে শুরু করে।
৫. মায়োক্লোনিক জার্ক: ঘুমিয়ে পরার পর হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে মনে হয় না কেমন একটা ঝাকুনি দিচ্ছে শরীরে। এমনটা হয় কিন্তু শরীরের ডিফেন্স মেকানিজেমের কারণেই। আসলে যখন আমরা ঘুমিয়ে পরি তখন আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের মাত্রা অনেকটাই কমে যায়। এই মাত্রা যখন খুব কমে যায় তখন শরীর আমাদের ঝাকুনি দিয়ে সজাগ করে দেয়। তাই এবার থেকে হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে গেলে ভয় পাবেন না, বুঝবেন শরীর আপনার ভালোর জন্যই এমনটা করেছে।
৬. চামরা কুঁচকে যাওয়া: অনেকক্ষণ জলে থাকার পর আমাদের আঙুলের চামরা কেমন কুঁচকে যায় লক্ষ কেরেছেন। এমনটা কেন হয় জানেন, যখনই আমরা স্লিপারি জায়গায় থাকি তখন যাতে আমরা পরে না যাই, আমাদের গ্রিপ যাতে ভালো হয়, তার জন্যই শরীরের নির্দেশ এমনভাবে চামরা ভাজ হতে শুরু করে।
৭. স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া: খারাপ কোনও অভিজ্ঞতার পর আমাদের স্মৃতি একটু হলেও কমে যায়। এমনটা হয় কারণ খারাপ স্মৃতি মস্তিষ্ক কখনই রাখতে চায় না। নিজে থেকেই তা মুছে ফেলে। এও শরীরের এক এক আত্মরক্ষার পদ্ধতি।
৮. গায়ে কাঁটা দেওয়া: শরীরের তাপ যাতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হারে বেরিয়ে যেতে না পারে তার জন্যই শরীরের সব রোম হঠাৎ করেই খারা হয়ে যায়।
৯. চোখের জল: আমরা সবাই জানি যে, চোখের জল আসলে চোখের মিউকাস মেমব্রেনকে রক্ষা করার জন্যই আছে। এর পাশাপাশি মনের ভাব প্রকাশ করে মানসিকভাবে হালকা হতেও চোখর জল আমাদের সাহায্য করে।প্রচন্ড মানসিক চাপে থাককালীন শরীর এমন কিছু করে যে কারণ সেই মুহূর্ত থেকে আমাদের ভবনা আলাদা কোনও বিষয়ে সরে যায়। এমনটা হলে ধীরে ধীরে আমাদের মানসিক চাপ কমতে শুরু করে।