কলকাতা টাইমস :
ক্লান্তি, অবসাদ বা ব্যথা যাই হোক না কেন আমরা কিছুটা সহ্য করার পরই ওষুধের আশ্রয় নিই। তবে এভাবে যেকোনও সমস্যায় ওষুধ খাওয়া একেবারেই অনুচিত। তাতে শরীর ভালো হওয়ার চেয়ে উল্টে আরও বেশি খারাপ হয়।যদি ওষুধ ছাড়াই নানা ধরনের সমস্যাকে নিমেষে দূর করা সম্ভব হত, তাহলে কতই না ভালো হত। আর সেই কথা ভেবেই বিশেষজ্ঞরা গবেষণার মাধ্যমে এক নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আমাদের হাতের প্রতিটা আঙুল শরীরের কোনও না কোনও অঙ্গের সঙ্গে জড়িত। ফলে হাতের কিছু ব্যায়াম করলে শরীরের নানা অঙ্গের সমস্যা, বিশেষ করে ব্যথা দূর হতে পারে।
প্রতিটি আঙুল নানা অঙ্গের ব্যথা ও আবেগের সঙ্গে সম্পর্কিত। ফলে তার ব্যায়াম শুধু শরীরের নয়, মনের ব্যথাকেও কমিয়ে দিতে সাহায্য করে।
জেনে নিন, কীভাবে হাত ও আঙুলের ব্যায়াম করে মন ও শরীরের বেদনা দূর করবেন।
বৃদ্ধাঙ্গুল : মাথা ব্যথা ও ক্লান্তির সঙ্গে সম্পর্কিত বৃদ্ধাঙ্গুল। এর সঙ্গে যোগ রয়েছে প্লীহা, পেট ও আবেগের। যদি আপনি মাথা ব্যথায় ভোগেন, নার্ভাস বা অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তাহলে বুড়ো আঙুলটিকে চেপে ধরুন। এটিকে ধীরে ধীরে ম্যাসাজও করতে পারেন। কিছুক্ষণ করে ছেড় দিতে পারেন। অথবা বাড়াবাড়ি হলে অনেকক্ষণ করতে পারেন।
তর্জনী : মাংসপেশীতে ব্যথা ও হতাশার সঙ্গে সম্পর্কিত তর্জনী। ভয়, দ্বিধা, ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া, কিডনির সঙ্গে যোগ রয়েছে এই আঙুলের। এটিকেও ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করতে হবে। পিঠে, কোমরে ব্যথা, মাংসপেশির ব্যথা, পা ও হাতে অস্বস্তি ইত্যাদিতেও তর্জনীর ম্যাসাজ প্রয়োজনীয়। মধ্যমা ক্লান্তি ও রাগের সঙ্গে সম্পর্কিত মধ্যমা। ব্যথা, জ্বালাময় অনুভূতি, পেটের সমস্যা ও রক্ত সঞ্চালনের সমস্যার সঙ্গে এর যোগ রয়েছে।
মধ্যমার ম্যাসাজ : রাগ ও বিরক্তির উপরে নিয়ন্ত্রণ আনতে সাহায্য করে। আপনাকে অনেকটা রিল্যাক্স করতে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে মধ্যমার ম্যাসাজ। অনামিকা মনের যতরকম নেতিবাচক চিন্তা, দ্বন্দ্ব, হজমের সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত অনামিকা। এই আঙুলে সামান্য চাপ দিয়ে ধরলে বুকে ব্যথা ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই উপায় অবলম্বন করার সময়ে আপনাকে শান্তভাবে থাকতে হবে ও জোরে জোরে প্রশ্বাস নিতে হবে।
কনিষ্ঠা : আত্মসম্মান, ভয় ও নার্ভাস অবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত কনিষ্ঠা। যে মানুষেরা খুব আবেগপ্রবণ ও চিন্তাশীল হন তারা ছোট আঙুলটিকে ম্যাসাজ করুন। এর ফলে নেতিবাচক ভাবনা ও মনের সংশয় দূর হবে।
হাতের তালু : বমি, ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত হাতের তালু। এটিকে ধীরে ধীরে উপর থেকে নিচে মালিশ করুন। এছাড়া তালুর মাঝের অংশ চেপে ধরে জোরে জোরে তিনবার শ্বাস নিন। এর ফলে বমি, নার্ভাস অবস্থা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি দূর হবে।