November 25, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

নো টেনশন, এবার ঘুম পাড়াতে আপনার ঘরেও আসবে এরা !

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
ইঁদুর দৌড়ে জীবন যখন খুব ক্লান্ত, তখনও নিজের কর্মক্ষমতা প্রমাণে রাতের পর রাত জেগে কাজের মধ্যে ডুবে থাকি আমরা। এতেই ঘুম বিদায় জানায় আমাদের। ক্লান্তি আর অবসাদে জর্জরিত আমরা এগিয়ে চলি সর্বনাশের পথে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে ঘুমোন। যতই কাজের চাপ থাকুক, যতই চিন্তা আপনাকে কাবু করুক না কেন, মনে রাখবেন, বাঁচতে চাইলে ঘুমোতে কিন্তু হবেই! আর কিভাবে সুন্দরভাবে ঘুমতে পারবেন? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে এই প্রবন্ধে।
১. ঘুমের নির্দিষ্ট সময় মেনে চলুন: রাতে কখন ঘুমোতে যান? সকালে কখনই বা ঘুম থেকে ওঠেন? কি ভাবছেন? কেন এগুলো জিজ্ঞাসা করছি? আমরা অনেকেই জানি না যে, আমাদের জীবনে ঘুমের দরকার যেমন আছে, তেমনই ঘুম থেকে ওঠারও একটি নির্দিষ্ট সময় থাকাও উচিত। একজন মানুষের দিনে খুব বেশি হলে ৮ ঘণ্টা ঘুমনো দরকার। বয়সভেদে এই প্রয়োজনীয়তা সাত ঘণ্টাও হতে পারে। এছাড়াও ঘুমোতে যাওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় অবশ্যই থাকা উচিত। এক এক দিন এক এক সময়ে ঘুমোতে যাওয়া মানে নিজেদের শরীরকেই অসুস্থ করে তোলা, যা আমরা অনেকেই ছুটির দিনগুলোতে কম-বেশি করে থাকি। এমনটা করাও কিন্তু খুবই বাজে অভ্যাস। তাই শরীর সুস্থ রাখতে এবং নিশ্চিন্তে ঘুমোতে চাইলে ঘড়ি ধরে ঘুমোতে যেতে হবে এবং ঘুম থেকে উঠতেও হবে। প্রসঙ্গত, বিশেষজ্ঞদের মতে শোওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে যদি ঘুম না আসে, তাহলে বিছানা ছেড়ে উঠে বই পড়ুন বা মনকে শান্ত রাখে এমন কোনও কাজ করুন। একটা সময়ের পর চোখে ঘুম আসতে বাধ্য।
২. খাওয়ার প্রতি সচেতন হোন: রাতের বেলা কখনোই না খেয়ে ঘুমোতে যাবেন না। আবার কবজি ডুবিয়েও খেতে যাবেন না। কারণ এতে শরীরের মধ্যে অস্বস্তি হতে পারে এবং আপনার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। মনে রাখবেন, শুতে যাওয়ার বেশ কয়েক ঘণ্টা আগেই ডিনার সেরে ফেলুন। এছাড়াও, শুতে যাওয়ার আগে ক্যাফেইন, নিকোটিন বা অ্যালকোহল জাতীয় জিনিস কখনোই খেতে যাবেন না। কারণ এগুলি ঘুম আসার পথে অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে। যদিও অ্যালকোহল শরীরকে ঝিমিয়ে পড়তে সাহায্য করে, তবে তা বেশির ভাগ সময় সুস্থ মতন ঘুমোতে বাঁধা দেয়।
৩.ঘুমের পরিবেশ বজায় রাখুন: অনেকেই আছেন, যারা যে কোনও পরিবেশেই ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সকলের ঘুমের জন্য উপযোগী পরিবেশের প্রয়োজন হয়। যেমন- অন্ধকার, শান্ত একটি ঘর, পরিষ্কার বিছানা ইত্যাদি। এতে ভাল ঘুম হয় এবং শরীর চনমনে হয়ে ওঠে। ঘুমোতে যাওয়ার আগে তাই ঘরকে অন্ধকার করুন, দরকার হলে শেডের ব্যবস্থা করুন, আশেপাশে কোনও আওয়াজ হলে কানে হেডফোন ব্যবহার করুন। এছাড়াও, ঘরকে ঠাণ্ডা রাখতে ফ্যান চালাতে পারেন। আবহাওয়া খুব গরম থাকলে শুতে যাওয়ার আগে গা ধুয়ে নিতে ভুলবেন না।
৪.দিনের বেলা কম ঘুমোন: দুপুর হলেই ভাতঘুমের অভ্যাস রয়েছে নাকি? তাহলে কিন্তু সর্বনাশ ডেকে আনছেন। এতে শরীরে যেমন মেদের সৃষ্টি হয়, তেমনই রাতের বেলা ঘুমের ব্যাপক বাঁধার সৃষ্টি হয়। তাই দিনের বেলা আধ ঘণ্টার বেশি ঘুমানো একদমই উচিত নয়। তবে, আপনি যদি রাত জেগে কাজ করে থাকেন, তাহলে দিনের বেলা ঘুমোতে পারেন। এতে রাতের বেলা কাজ করতে এনার্জি পাবেন।
৫.শারীরিক কসরত করুন: ব্যায়াম বা জিম করলে খুব ভাল ঘুম আসে। কারণ দিনের শেষে এটি ঘুম আসতে বাধ্য করে। এছাড়াও ঘুমোতে যাওয়ার সময় একগাদা কাজ করতে যাবেন না। এতে ঘুম না আসার আশঙ্কা বাড়বে।
৬.চিন্তামুক্ত থাকুন: ঘুমোতে যাওয়ার সময় নিজেকে যতটা সম্ভব চিন্তামুক্ত রাখুন। এছাড়াও পরের দিন কি কাজ বাকি আছে, সেগুলো এক জায়গায় লিখে রেখে শুতে যান। ঘুমোতে যাওয়ার আগে, পরের দিনের কাজ নিয়ে গঠনমূলক কিছু চিন্তাভাবনা করার চেষ্টা করুন। ইচ্ছা হলে ধ্যানও করতে পারেন। এইন নিয়মগুলি মানলে অনিদ্রা দূর হয়। কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন? আমরা সকলেই কোনও না কোনও সময় বিনিদ্র রাত কাটাই। আবার আপনা আপনি এই সমস্যার সমাধানও হয়ে যায়। কিন্তু এই ধরণের সমস্যা বহু দিন ধরে চলতে থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং ঘুম না আসার কারণগুলি খুঁজে বের করে তার চিকিৎসা করুন।

Related Posts

Leave a Reply