শুধু হাত ধুলেই হবে না, গাম গাইলেই জীবাণু গায়েব, কেন জানেন ?
সুক্ষ্ সব জীবাণু কার্যকরভাবে ধ্বংস করতে সাবান দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেণ্ড ধরে হাত ধোয়া উচিত। কারণ দুই সেকেন্ডেই আপনার হাতের সব জীবাণু চলে যায় না। তাই হাত জীবাণূমুক্ত করতে আরো কয়েকটা সেকেণ্ড ব্যয় করা উচিত।
তবে হাত ধোয়ার সময় ঘড়ি ধরে থাকা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে ২০ সেকেণ্ড সময় নির্ধারণ করবেন কীভাবে? খুব সহজ উপায় হচ্ছে ‘ওয়ান থাউজেন ওয়ান’ ২০ বার বলুন। কারণ ‘ওয়ান থাউজেন ওয়ান’ বাক্যটা বলতে এক সেকেন্ড সময় লাগে।
এছাড়া বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, হাত ধোয়ার সময় ২০ সেকেণ্ড সময় নিশ্চিত হতে না পারলে গুণ গুণ করে গাইতে থাকুন হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ। এভাবে দশবার গাইতে থাকুন। দিনের বাকি সময়ে হাত ধোয়ার সময় একই কাজ করুন।
সাবান লাগিয়ে হাত উপর-নিচ ধুয়ে ফেলুন। তাড়াতাড়ি এমনটি করলে ২০ সেকেণ্ড সময় আপনার কাছে অনেক বেশি মনে হতে পারে। তাই সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার সঠিক পদ্ধতি জেনে নেওয়া জরুরি।
হাতের উপর-নিচে ঘষা
প্রথমে হাত ভিজিয়ে সাবান লাগিয়ে দুটি হাতের উপর-নিচ ভালোভাবে ঘষুন। কমপক্ষে পাঁচ সেকেণ্ড ধরে এই কাজটি করুন।
আঙুল ভালোভাবে পরিষ্কার
এর পর দুই হাতের আঙুলের মাঝখানে ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। এই কাজটি করতেও কমপক্ষে পাঁচ সেকেণ্ড সময় ব্যয় করুন।
নখ পরিষ্কার
এবার নখের জীবাণু দূর করার জন্য হাতের তালু দিয়ে কমপক্ষে ২.৫ সেকেণ্ড ধরে ঘষুন। এভাবে দুই হাতের জন্য পাঁচ সেকেণ্ড সময় লাগান।
বৃদ্ধাঙুল ধোয়া
ধোয়ার সময় হাতের সবচেয়ে অবহেলিত অংশই হলো বৃদ্ধাঙুল। তাই ধোয়ার সময় দুই হাতের তালু দিয়ে এই দুই আঙুল ভালোভাবে ঘষে নিন। এতে সর্বমোট পাঁচ সেকেণ্ড সময় ব্যয় করুন। পরে পরিষ্কার জল দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।
সাবান নাকি হ্যান্ডওয়াশ
হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করার জন্য সাবান নাকি হ্যান্ডওয়াশ কোনটি ভালো? এক্ষেত্রে অবশ্য সাবান-জলকেই এগিয়ে রাখেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, ভ্রমণের সময় শতকরা ৬০ ভাগ অ্যালকোহল সমৃদ্ধ হ্যাণ্ডওয়াশ ব্যবহার একটি ভালো পরিকল্পনা হতে পারে। কেননা এ সময় জল দিয়ে হাত সঠিকভাবে ধোয়া সম্ভব হয় না। তবে দিনের শেষে অবশ্যই সাবান-জল দিয়ে হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করা উচিত। এক্ষেত্রে ট্রিকলোসান সমৃদ্ধ সাবান ব্যবহার করা ভালো। এসব সাবানে অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকায় তা জীবাণূ ধ্বংস করতে ভূমিকা রাখে। এ কারণে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরাও।